দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৭২ (অক্ষর ৫৪, ওয়ার্নার ৫১, চাওলা ৩-২২)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৭৩-৪ (রোহিত শর্মা ৬৫, তিলক বর্মা ৪১, মুকেশ ২-৩০)
মুম্বই ৬ উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লড়াই ছিল লিগ টেবিলের শেষ দুই দলের। দুটি দলই পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের খাতা খোলার জন্য লড়াই করছিল। সেই লড়াই হল রীতিমতো টানটান। যদিও শেষ হাসি হাসল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। বল হাতে পীযুষ চাওলার ভেলকি আর ব্যাট হাতে অধিনায়ক রোহিত শর্মার অনবদ্য হাফসেঞ্চুরি রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জয় এনে দিল মুম্নইকে। আইপিএলের সবচেয়ে সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি চলতি মরশুমের প্রথম জয় পেল ৬ উইকেটে।
এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই অধিনায়ক রোহিত। আইপিএলের সবচেয়ে সফল ফ্র্যাঞ্চাইজির বোলিং বিভাগ এবার খাতায়-কলমে সবচেয়ে দুর্বল। তা সত্ত্বেও এদিন অফ ফর্মে থাকা দিল্লিকে ১৭২ রানে আটকে দিতে পেরেছে মুম্বই। সৌজন্য পীযুষ চাওলার ভেলকি এবং বেহেরনডর্ফের পেস। এরা দু’জনেই ৩টি করে উইকেট পান। দুই বোলারের দাপটে অক্ষরের ৫৪ আর অধিনায় ওয়ার্নারের ৫১ ছাড়া, আর কোনও ব্যাটার সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি।
মুম্বইয়ের দেওয়া ১৭৩ রানের টার্গেট নিয়ে শুরুটা দারুন করে মুম্বই। অধিনায়ক রোহিত এবং ঈশান কিষান প্রথম উইকেটের জুটিতেই তুলে দেন ৭১ রান। দ্বিতীয় উইকেটে তিলক বর্মাকে নিয়ে বড় পার্টনারশিপ গড়েন রোহিত। মুম্বইয়ের অধিনায়ক করেন ৬৫ রান। সাম্প্রতিক অতীতে একেবারেই ভাল ফর্মে ছিলেন না রোহিত। ২৪ ম্যাচ পরে হাফসেঞ্চুরির খরা কাটল ভারত অধিনায়কের। রোহিতের উইকেটের পর চাপে পড়ে যায় মুম্বই। বাংলার উইকেট রক্ষক অভিষেক পোড়েল অনবদ্য ক্যাচ নিয়ে ফেরান রোহিতকে। তারপরই মুস্তাফিজুর এবং নখিয়ার হাত ধরে ম্যাচে ফেরে দিল্লি। শেষ ওভারে মাত্র পাঁচ রান তুলতেই নাকানি-চোবানি খেতে হয়েছে মুম্বইকে। যদিও শেষ পর্যন্ত মাথা ঠান্ডা রেখে ম্যাচ জিতিয়ে দেন গ্রিন এবং টিম ডেভিড।