রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: ১৮৯/৯ (ডু প্লেসি-৬২ ম্যাক্সওয়েল-৭৭)
রাজস্থান রয়্যালস: ১৮২/৬ (যশস্বী-৪৭, দেবদূত-৫২)
৭ রানে জয়ী রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যাঙ্গালোরের হয়েছেটা কী? দুর্দান্ত ব্যাটিং লাইন-আপ। যে কোনও বিপক্ষের কাছে ঈর্ষণীয় টপ ও মিডল অর্ডার। ছন্দেও রয়েছেন ব্যাটাররা। তা সত্ত্বেও একের পর এক ম্যাচে ২০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যে পৌঁছতে ব্যর্থ আরসিবি। লিগ শীর্ষে থাকা রাজস্থানকে হারানোর পরও এ প্রসঙ্গটা কিছুতেই এড়িয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। কারণ স্কোরবোর্ডে আরও খানিকটা রান যোগ করা গেলে শেষবেলায় আঙুল কামড়াতে হয় না। বরং আরও সহজে জেতা যায়।
গত ম্যাচের মতো রবিবাসরীয় সন্ধেতেও আরসিবির নেতৃত্বের দায়িত্ব ছিল বিরাট কোহলির (Virat Kohli) কাঁধে। চিন্নাস্বামীতে টস জিতে কোহলিদের ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন সঞ্জু স্যামসন। যাতে শুরুতেই মেলে বিরাট-সাফল্য। ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে খালি হাতে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ক্যাপ্টেন কোহলি। শাহবাজের মূল্যবান উইকেটটি তুলে নিয়ে আরসিবিকে ধাক্কা দেন বোল্ট। কিন্তু ডু প্লেসি এবং ম্যাক্সওয়েলের দুরন্ত যুগলবন্দিতেই ঘুরে যায় খেলা। তবে পরিচিত রোগ থেকে এখনও বেরতে পারেনি ব্যাঙ্গালোর (RCB)। ম্যাক্সওয়েল ও ডু প্লেসি ফিরতেই একের পর এক উইকেটের পতন ঘটে। ঝপ করে পড়ে যায় রান রেট। ফলস্বরূপ ২০০ রান তুলতে ব্যর্থ হয় ব্যাঙ্গালোর।
[আরও পড়ুন: প্যারিস সাঁ জাকে বিদায়? ‘১৫টি স্যুটকেস’ নিয়ে বার্সেলোনায় মেসি! তুঙ্গে জল্পনা]
চলতি মরশুমে রাজস্থান (RR) যে ফর্মে রয়েছে, তাতে তাদের বিরুদ্ধে রীতিমতো হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতে হচ্ছে প্রায় সব দলকেই। এদিনও ম্যাচ পৌঁছে যায় সেই রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের দিকেই। শুরুতে বাটলার আউট হয়ে গেলেও যশস্বী জশওয়াল ও দেবদূত পাড়িক্কল সুন্দর ইনিংস খেলেন। শেষের দিকে অশ্বিন ও ধ্রুব দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও শেষরক্ষা হয়নি। হর্ষল প্যাটেলের ইয়র্কারে (৩২/৩) ৭ রানে ম্যাচ জিতে নেয় আরসিবি।
আরসিবির শক্তি তাদের ব্যাটিং। বোলিং বিভাগ তুলনামূলক দুর্বল। তাই প্লে অফের পথে এগোতে হলে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সদ্ব্যবহার যে অত্যন্ত জরুরি, তা আজ নিশ্চিতভাবেই টের পেলেন কোহলি। এই জয়ের পর সাত ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানেই রইলেন তাঁরা। তবে সমসংখ্যক ম্যাচে একই পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রাজস্থান।