সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ১৮২-৯ (রেড্ডি ৬৪, সামাদ ২৫, অর্শদীপ ৪-২৯ )
পাঞ্জাব কিংস: ১৮০-৬ (শশাঙ্ক ৪৬, কুরান ২৯)
হায়দরাবাদ ২ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৬ বলে দরকার ছিল ২৯ রান। ব্যাট করছেন তরুণ আশুতোষ শর্মা, আর আগের ম্যাচের নায়ক শশাঙ্ক সিং। বল করছিলেন অভিজ্ঞ জয়দেব উনাদকাট। প্রথম দু বলেই তরুণ আশুতোষের ব্যাট থেকে ৬। অনেকেই হয়তো ফ্ল্যাশব্যাকে চলে গিয়েছিলেন। এক বছর আগে ঠিক এই দিনেই অসাধ্য সাধন করেছিলেন কেকেআরের রিঙ্কু সিং (Rinku Singh)। স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল পাঞ্জাব। তবে কি ফের কোনও ম্যাজিক? না, সেই ম্যাজিক হল না। স্নায়ুর লড়াইয়ে জিতলেন অভিজ্ঞ উদানকাট। শেষমেশ ২ রানে হেরে গেল প্রীতি জিন্টার পাঞ্জাব (Punjab Kings)।
আইপিএলের (IPL 2024) গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসকে ২ রানে হারিয়ে হায়দরাবাদ উঠে এল ৬ পয়েন্টে। লিগ টেবিলে আপাতত পাঁচ নম্বরে তারা। আর পাঞ্জাব রয়ে গেল চার পয়েন্টেই।
[আরও পড়ুন: ‘আমি হিসেব রাখি না’, আইপিএলে নয়া রেকর্ড গড়েও ‘অভিমানী’ জাদেজা]
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান। শুরুটা খারাপ করেননি পাঞ্জাব বোলাররা। বিশেষ করে অর্শদীপ সিং যেভাবে শুরুতেই হায়দরাবাদের (SRH) একের পর এক উইকেট তুলে নিলেন তাতে একটা সময় মনে হচ্ছিল দেড়শো পেরনোটাও বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে কামিন্সদের জন্য। ম্যাচের দশম ওভারে ৬৪ রানের মধ্যে ৪ উইকেট পড়ে যায় হায়দরাবাদের। তার পর নীতীশ কুমার রেড্ডির ব্যাটে প্রতিরোধ শুরু করে হায়দরাবাদ। প্রথমে ক্লাসেন এবং পরে আবদুল সামাদের সঙ্গে জুটি বেঁধে হায়দরাবাদকে দেড়শোর গণ্ডি পার করান তরুণ ব্যাটার। ৩৭ বলে ৬৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি। আবদুল সামাদ করেন ২৫ রান। মুলত রেড্ডি এবং সামাদের ব্যাটেই ১৮২ রান পর্যন্ত পৌঁছে যায় হায়দরাবাদ।
[আরও পড়ুন:মরণ-বাঁচন ম্যাচে পাঞ্জাবের সামনে ইস্টবেঙ্গল, রাজধানীতে সমর্থন না থাকা ভাবাচ্ছে কুয়াদ্রাতকে]
পাঞ্জাবের পেস সহায়ক পিচে এই ১৮৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। আর সেটা বোঝা গেল পাঞ্জাব ইনিংসের গোড়া থেকেই। হায়দরাবাদ একেবারে শুরু থেকে একের পর এক উইকেট তুলে চাপে ফেলল পাঞ্জাবকে। প্রীতির দলের প্রথম ৩ উইকেট পড়ল মাত্র ২০ রানে। শুরুর সেই ধাক্কা সামলাতে বেশ বেগ পেতে হয় পাঞ্জাবকে। কুরান (২৯), রাজা (২৮) প্রথমে জুটি বেঁধে পাঞ্জাবকে ম্যাচে ফেরান। তার পর শেষদিকে চমক দেখান আশুতোষ এবং শশাঙ্ক। কার্যত অসম্ভব একটি ম্যাচকে শেষ ওভার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান তাঁরা। সপ্তম উইকেটের জুটিতে ৬৬ রান তোলেন তাঁরা। তাও দ্রুত গতিতে। দুই তরুণ ব্যাটারের ব্যাটে ভর করে শেষ ওভারে ২৬ রান তুলল ধাওয়ানের দল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। হারতে হল ২ রানে।