সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণে জড়িত থাকার অভিযোগ ওড়াল ইরান (Iran)। এক বিবৃতিতে ইরানের দূতাবাস জানিয়েছে, দুই দেশের সম্পর্কে ফাটল ধরাতে এটা শত্রুপক্ষের ষড়যন্ত্র।
[আরও পড়ুন: ‘মমতা-সোনিয়া কি এবার ক্ষমা চাইবেন?’, বাটলা হাউস কাণ্ডে কটাক্ষ বিজেপির]
গত ২৯ জানুয়ারি বিকেলে প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে দূতাবাস সংলগ্ন এলাকা। দূতাবাস থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে জিন্দাল হাউসের সামনে আইইডি বিস্ফোরণটি ঘটে। তবে ওই ঘটনায় কোনও প্রাণহানি ঘটেনি। এরপরই এই ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। প্রাথমিক তদন্তে বিস্ফোরকটিতে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ছিল বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। অত্যন্ত প্রশিক্ষিত চর বা কমান্ডো ট্রেনিং প্রাপ্ত না হলে এমন বিস্ফোরক তৈরি করা সম্ভব নয়। একাংশের দাবি, বিস্ফোরণের নেপথ্যে রয়েছে ইরান। ইজরায়েলকে শিক্ষা দিতেই এই হামলা। তেহরানের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলে ইজরায়েলও। ফলে রীতিমতো কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয় নয়াদিল্লি, জেরুজালেম ও তেহরানের মধ্যে। এহেন পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লির ইরানি দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক। তবে এই ঘটনায় ইরানকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে জড়ানো হচ্ছে। ভারত-ইরান সম্পর্কে ফাটল তৈরি করতে এই কাজ করছে শত্রুপক্ষ।’
উল্লেখ্য, বিস্ফোরণের কয়েক দিন পরেই দায় স্বীকার করে জইশ-উল-হিন্দ (Jaish Ul Hind) নামের এক জঙ্গি সংগঠন। তদন্ত চলাকালীন ঘটনাস্থল থেকে একটি মুখ বন্ধ খাম পাওয়া যায়। ওই চিঠিতে ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনের বিস্ফোরণকে ‘ট্রেলার’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। পাশাপাশি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিস্ফোরণের হুমকিও দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে কাশেম সোলেমানি ও মহসিন ফকরিজাদে নামে দু’জনের উল্লেখ রয়েছে। প্রথম জন ইরানের শীর্ষস্থানীয় মিলিটারি কমান্ডার। দ্বিতীয় জন পরমাণুবিজ্ঞানী। ২০২০ সালে তাঁদের মৃত্যুর পিছনে আমেরিকা ও ইজরায়েলকে দায়ী করেছিল ইরান (Iran)। দিল্লির বিস্ফোরণ সেই হত্যার বদলারই ‘ট্রেলার’ কিনা আপাতত সেটা নিয়েই ভাবছেন তদন্তকারীরা। এদিকে জইশ-উল-হিন্দ নামের কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম এতদিন পর্যন্ত অজানাই ছিল। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ইজরায়েলের কূটনীতিকের গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ইরানের (Iran) হাত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। ফলে রীতিমতো কূটনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছিল তিন দেশের মধ্যে।