সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিজাব আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা হয়েছিল গত সপ্তাহে। এবার আরও এক বড় পদক্ষেপ করল ইরান। প্রত্যাহার করে নেওয়া হল হোয়াটসঅ্যাপ ও গুগল প্লে-র উপর নিষেধাজ্ঞা। সেদেশের ইন্টারনেট নীতির ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন এক অতি গুরুত্বপূ্ণ পদক্ষেপ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
ইরানের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী সাত্তার হাশেমি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, 'আজ আমরা ইন্টারনেট-নিষেধাজ্ঞা তুলতে প্রথম পদক্ষেপ করেছি। প্রেসিডেন্ট, মিডিয়া এবং কর্মীদের তাদের প্রচেষ্টার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। এই সংহতি আমাদের এখন আরও বেশি প্রয়োজন।' প্রসঙ্গত, গত দুবছর ধরে ইরানে নিষিদ্ধ ছিল হোয়াটসঅ্যাপ ও গুগল প্লে স্টোর। আসলে বিশ্বের যে সব দেশে ইন্টারনেট-নিষেধাজ্ঞা সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে অন্যতম তেহরান।
কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি তাদের এই সংক্রান্ত নীতিতে বদল আনতে চাইছে বলেই মনে করা হয়। আসলে কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন মাসুদ পেজেস্কিয়ান। তিনি 'সংস্কারপন্থী' হিসেবেই পরিচিত। আর তিনি মসনদে থাকাকালীনই হিজাব আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই তিনি হিজাব পরার কঠোর নিয়মের সমালোচনা করেছিলেন এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যদিও বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের ‘সর্বশক্তিমান’ সুপ্রিম লিডার আয়াতোল্লা আলি খামেনেইকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পেজেস্কিয়ানের এই সংস্কারের পথ কতটা প্রশস্ত হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তবু এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন অনেকেই। প্রস্তাবিত আইনে বলা ছিল, মহিলাদের কঠোরভাবে হিজাব বিধি মেনে চলতে হবে। সব সময় মাথার চুল, কাঁধ ও পা ঢেকে রাখতে হবে। যদি এই নিয়ম কেউ না মানে তাহলে নেমে আসবে শাস্তির খাঁড়া। জরিমানা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ সাজা হিসাবে ১৫ বছরের কারাবাস হতে পারে। যা লাগু হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে এবার ইরান থেকে উঠল ইন্টারনেট-নিষেধাজ্ঞাও।