সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন হওয়ার পর থেকেই আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অমরনাথ যাত্রাও। আবার একাধিক দেশ পর্যটকদের কাশ্মীরে যেতে নিষেধ করেছে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি একপ্রকার যুদ্ধকালীন। আর এরই মধ্যে এবার প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ইরফান পাঠান এবং জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেট দলের অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফদের দ্রুত ভূস্বর্গ ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল। শুধু তাই নয়, সে রাজ্যের ক্রিকেট সংস্থায় খেলা একশোরও বেশি ক্রিকেটারকে নিজেদের বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: হতাশ করলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা, দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে কষ্টার্জিত জয় কোহলিদের]
বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মীরের হয়ে খেলেন ইরফান। সে দলের মেন্টরও তিনি। ফলে খেলার সূত্রে সেখানেই ছিলেন তিনি। তাঁর পাশাপাশি কোচ মিলাপ মেওয়াদা, প্রশিক্ষক সুদর্শন ভিপিকে বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়েছে। নির্বাচকদের মধ্যে যাঁদের বাড়ি কাশ্মীরে নয়, তাঁদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যত দ্রুত সম্ভব তাঁরা যেন পরিবারের কাছে ফিরে যান। শোনা যাচ্ছে, আজ রবিবারই কাশ্মীর ছাড়ছেন তাঁরা। আগামী ১৭ আগস্ট দলীপ ট্রফি দিয়ে মরশুম শুরু করার কথা ছিল কাশ্মীরের। তারপরই বিজয় হাজারে ট্রফি। ডিসেম্বরে শুরু রনজি ট্রফি। তার আগে কেন্দ্রের এমন পরিস্থিতিতে রীতিমতো দিশেহারা সে রাজ্যের ক্রিকেট সংস্থাও (জেকেসিএ)। বিশ বাঁও জলে ক্রিকেটারদের অনুশীলন ও ম্যাচ। জেকেসিএ’র সিইও সৈয়দ আশিক হোসেন বুখারি বলেন, “হ্যাঁ, জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন পাঠান ও অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফদের দ্রুত রাজ্য থেকে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। রবিবারই তাঁরা উপত্যকা ছাড়ছেন। যে নির্বাচকরা এরাজ্যের নন, তাঁদের নিজের নিজের বাড়িতে ফিরে যেতে বলা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ‘কৃশানু… কৃশানু…’, ওয়েব সিরিজের টিজারেই ফুটছেন ফুটবলপ্রেমীরা]
প্রথমে ঠিক ছিল শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর স্টেডিয়ামে দল বাছাইয়ের জন্য কয়েকটি প্র্যাকটিস ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আপাতত সমস্ত অনুশীলন বন্ধ রাখা করে দেওয়া হয়েছে। উপত্যকার পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যেই একশোজনেরও বেশি ক্রিকেটারকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
The post যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি, ইরফান পাঠান-সহ একশোরও বেশি ক্রিকেটারকে ভূস্বর্গ ছাড়ার নির্দেশ appeared first on Sangbad Pratidin.