সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারিয়ে চলতি আইপিএলটা দুর্দান্তভাবে শুরু করেছে গুজরাট টাইটান্স। কেএল রাহুলদের বিরুদ্ধে সেই জয়ের অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন মহম্মদ শামি। নতুন বল হাতে নিয়েই নিখুঁত ডেলিভারিতে অধিনায়ক রাহুলকে (KL Rahul) দেখিয়েছিলেন প্যাভিলিয়নের পথ। গোটা বিশ্ব ক্রিকেট যখন ভারতীয় পেসারকে নিয়ে ধন্য ধন্য করছে, তখন এক পাক সাংবাদিকের গলায় উলটো সুর। উলটে কটাক্ষই করলেন শামিকে। তবে শামির পালটা দেওয়ার আগে তাঁর হয়ে গর্জে উঠলেন ইরফান পাঠান।
সেই ম্য়াচে প্রথম বলেই রাহুলকে আউট করেন শামি (Mohammad Shami)। এরপর একে একে ফেরান কুইন্টন ডি-কক এবং মণীশ পাণ্ডেকে। আর সেই সৌজন্যে আরও সহজ হয়ে যায় গুজরাটের জয়ের পথ। আইপিএলের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত পার্পল ক্যাপের মালিক হতে পারেননি শামি। তবে এবার যে আগুনে গতিতে টুর্নামেন্টের শুরুটা করেছেন তিনি, তাতে কোথায় থামবেন, বোঝা কঠিন। তাঁর অনবদ্য বোলিং দেখে টুইটারে প্রশংসা করেন ইরফান পাঠান। প্রাক্তন ভারতীয় পেসার লেখেন, “বিশ্বে খুব কম বোলার আছে যারা নতুন বলকে মহম্মদ শামির মতো ব্যবহার করতে পারে।”
[আরও পড়ুন: ‘সমলিঙ্গের বিয়েকে বৈধতা দিন’, লোকসভায় সরব এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে]
পাঠানের এহেন মন্তব্যের পালটা দিয়েই পাকিস্তানের এক সাংবাদিক একটি পোস্ট করেন। “ওরা (ব্যাটাররা) ওকে খেলতে পারেনি।” তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, শামিকে খেলতে না পারাটা ব্যাটারদের ব্যর্থতা। এমন কিছু ভাল বোলিং করেননি শামি। এমনকী গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শামি যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে কোনও উইকেট পাননি, সে কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। শামির অনবদ্য পারফরম্যান্স নিয়ে পাক সাংবাদিকের কটাক্ষের পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। পাক সাংবাদিককে একহাত নেন ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। তাঁকে তুলোধোনা করতে ছাড়েননি ইরফানও। শামির পাশে দাঁড়িয়ে সরব হন তিনি।
পাক সাংবাদিকের উদ্দেশে টুইট করেন, “২০০৩ বিশ্বকাপে ওয়াসিম আক্রমও (কিংবদন্তি) শচীন তেণ্ডুলকরের (কিংবদন্তি) উইকেটটি নিতে পারেননি। তার মানে কি তিনি বল করতে জানেন না?” পাক সাংবাদিককে ‘সস্তার বিশেষজ্ঞ’ বলেও খোঁচা দেন ইরফান।