সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বামেদের ব্রিগেডই প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল সংযুক্ত জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে। আইএসএফকে নিয়ে কংগ্রেস যে খুব একটা খুশি নয়, তা বোঝা গিয়েছিল রবিবারই। আব্বাসের গলাতেও শোনা গিয়েছিল কংগ্রেস বিরোধী সুর। সোমবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট নেতা আব্বাস সিদ্দিকি (Abbas Siddiqui)। বললেন, “কংগ্রেসের এক নেতা মোদি ও মমতার সঙ্গে যোগ রাখছেন। ভোটের পর উঁচুপদ পেলে তৃণমূলকে সমর্থন করবেন তিনি।” আব্বাসের এই অভিযোগ স্বাভাবিকভাবেই নতুন জল্পনার জন্ম দিয়েছে।
আসন ছাড়া নিয়ে কংগ্রেস ও ভাইজানের দড়ি টানাটানি এতদিন ছিল চার দেওয়ালের মাঝে। রবিবার ‘ভাইজান’ই তা প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন। ব্রিগেডের মঞ্চে অধীররঞ্জন চৌধুরীর উপস্থিতিতেই তিনি বলেন, “তোষণের নয়, অংশীদারির রাজনীতি করতে এসেছি।” মঞ্চ থেকেই তাঁর সমর্থকদের প্রতি বামেদের ভোট দেওয়ার নির্দেশ দিলেও অপর জোটসঙ্গী কংগ্রেস সম্পর্কে নীরব থাকেন ভাইজান। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টিকে যে তিনি ভালভাবে নিতে পারেননি, কালক্ষেপ না করে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি। বুঝিয়ে দিয়েছেন, ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে এখনও তিনি জোটের অংশীদার মানতে নারাজ। রবিবার থেকে এই নিয়ে চাপানউতোর চলছেই। এসবের মাঝে গতকালের ঘটনার জন্য প্রকাশ্যে দুঃখপ্রকাশ করেন আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকি। যদিও নিজের অবস্থান থেকে সরেননি তিনি। এদিনও আসন রফা নিয়ে কংগ্রেসকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, তিনি জানেন কংগ্রেসের ৫২টি আসন রয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে কোনও আলোচনা করছেন না তাঁরা।
[আরও পড়ুন: পামেলার গাড়ি থেকে রাকেশ ঘনিষ্ঠকে পালাতে সাহায্য! কোকেন কাণ্ডে পুলিশের জালে আরও ১]
এসবের পাশাপাশি এদিন এক কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন আব্বাস। বলেন, “আমি জানতে পেরেছি কংগ্রেসের এক নেতা দিদি ও মোদির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। ফল ঘোষণার পর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবেন তিনি।” আব্বাসের আক্রমণের পালটা দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য।