সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনও চেষ্টাই কাজে এল না। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ থেকে ছিটকে গেলেন টিম ইন্ডিয়ার ওপেনার রোহিত শর্মা এবং পেসার ইশান্ত শর্মা। শেষ দুটি ম্যাচে তাঁদের খেলানোর মরিয়া চেষ্টা করবে বিসিসিআই (BCCI)। অন্তত রোহিতকে (Rohit Sharma) শেষ দুই টেস্টে পাওয়া যাবে বলেই আশাবাদী বোর্ড। তবে, ইশান্তের ক্ষেত্রে সেই সম্ভাবনাও কম।
আসলে আইপিএল চলাকালীনই হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট পান রোহিত। তারপরও খেলেছেন টুর্নামেন্টের শেষ তিন ম্যাচে। তবে পুরোপুরি চোটমুক্ত এখনও হননি। সম্পূর্ণভাবে চোট সারাতে এই মুহূর্তে বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রয়েছেন হিটম্যান। রোহিত শর্মার মতো ইশান্ত শর্মাকেও (Ishant Sharma) অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানো হয়নি ভারতীয় টিমের সঙ্গে। বলা হয়েছিল, ইশান্তের ফিটনেসের অবস্থা দেখার পর তাঁর টেস্ট টিমে অন্তর্ভুক্তির কথা ভাবা হবে। আসলে ইশান্তের তলপেটের পেশি ছিঁড়ে গিয়েছিল। যে কারণে আমিরশাহী আইপিএল (IPL) থেকেও ছিটকে গিয়েছিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘মঞ্জরেকরকে ধারাভাষ্য থেকে বাদ দেওয়া ঠিক হয়নি’, সৌরভের নিন্দায় সরব রামচন্দ্র গুহ]
শেষ মুহূর্তে এই দুই তারকাকে কোনওভাবে অস্ট্রেলিয়া পাঠানো যায় কিনা তা খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি বেঙ্গালুরু ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে গিয়েছিল বোর্ডের একটি বিশেষজ্ঞ দল। কিন্তু এনসিএ (NCA) তাঁদের জানিয়ে দিয়েছে, রোহিতকে আরও অন্তত ২ সপ্তাহ রিহ্যাবে থাকতে হবে পুরোপুরি ফিট হতে গেলে। যার অর্থ ডিসেম্বরের ৮ তারিখের আগে তাঁর অস্ট্রেলিয়ার বিমান ধরা হচ্ছে না। অস্ট্রেলিয়ায় নেমে আবার ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক। যার অর্থ ২২ ডিসেম্বরের আগে অজি ভূমিতে অনুশীলন শুরু করতে পারছেন না তিনি। তারপরও ১০০ শতাংশ ম্যাচ ফিট হতে সময় লাগবে তাঁর। ৭ জানুয়ারি তৃতীয় টেস্ট শুরুর আগে তাই মাঠে নামতে পারছেন না তিনি। বোর্ড সূত্রের খবর, প্রথম দুই টেস্টের জন্য রোহিতের পরিবর্ত হিসেবে শ্রেয়স আইয়ারকে ভাবা হতে পারে। সীমিত ওভারের সিরিজের জন্য অস্ট্রেলিয়াতেই আছেন শ্রেয়স।
[আরও পড়ুন: ‘ফোন করলেই কাঁদে, বাবার স্বপ্ন পূরণ করেই দেশে ফিরতে চায়’, জানালেন সিরাজের দাদা]
এদিকে ইশান্তের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও বড়। আনফিট হওয়ার পাশাপাশি ম্যাচ প্র্যাকটিসও নেই তাঁর। এনসিএ বলছে, এই মুহূর্তে ৭০-৮০ শতাংশ ফিট তিনি। পুরোপুরি ম্যাচ ফিট হতে আরও অন্তত ৪ সপ্তাহ লাগবে তার। তারপর আবার ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ৬ সপ্তাহের ব্যাপার। ইশান্তকে তৃতীয় টেস্টেও খেলানো যাবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় আছে।