সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বানচাল বড়সড় নাশকতার ছক। পর্দাফাঁস ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠীর ‘স্লিপার সেল’-এর। মহারাষ্ট্রের পুণে শহর থেকে গ্রেপ্তার আইএস-এর পাঁচ জঙ্গি। বুদ্ধগয়ায় হামলার ছক কষছিল ধৃতরা।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গোয়েন্দাদের খবরে পুনের একাধিক জায়গায় অভিযান চালায় মহারাষ্ট্র পুলিশের ‘অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড’ বা এটিএস। জালে পড়ে ইসলামিক স্টেটের পাঁচ জঙ্গি। সূত্রের খবর, বুদ্ধগয়ায় বোমা বিস্ফোরণ ও আত্মঘাতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল তারা। এর জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা করে ফেলেছিল জঙ্গিরা। যদিও মোক্ষম সময়ে পুলিশের অভিযানে ভেস্তে যায় সেই ছক। বানচাল হয়ে যায় ভারতকে রক্তাক্ত করার জেহাদি ষড়যন্ত্র। অসমর্থিত সূত্রের খবর, ধৃত জঙ্গিদের কাছ থেকে অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। মিলেছে জেহাদি বইপত্রও।
[এসটিএফ-এর জালে বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণে অভিযুক্ত জামাত জঙ্গি ]
মনে করা হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করে থাকতে পারে ধৃত জঙ্গিরা। তাদের পরিচয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ওই জঙ্গিদের মধ্যে কোনও বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছে কি না তাও তদন্ত করে দেখা হবে। খোদ পুণে শহরের বুকে এহেন গ্রেপ্তারিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে নিরাপত্তা মহলে। এখনও ২০০৮-র মুম্বই হামলার ক্ষত শুকায়নি। এরই মধ্যে পুণের ঘটনা প্রমাণ করে দিচ্ছে ভারতে শিকড় গেড়েছে ইসলামিক স্টেট।
উল্লেখ্য, জানুয়ারি মাসে বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণ ঘটে। সেই সময় সেখানে মজুত ছিলেন তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামা। তারপরই অভিযান শুরু করে পুলিশ। বিস্ফোরণে জড়িত চারজন জামাত জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা যায়, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে নিও জামাত-উল-মুজাহিদিন (নিও জেএমবি)। গোয়েন্দারা জানতে পারেন, গত ছয় মাস ধরে পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গি তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছিল জেএমবি। তাদের প্রশিক্ষণ চলছিল মুর্শিদাবাদে। সেখানেই ঘাঁটি গেড়েছিল জেএমবি-র প্রধান সালাউদ্দিন সালেহিন। ধুলিয়ানে অনুষ্ঠান ওই সভাতেই যুবক ও তরুণদের মগজধোলাই করা হচ্ছিল। ‘মডিউল’ তৈরি করে তার আওতায় সাতটি ইউনিটও গড়া হয়েছিল। প্রত্যেকটি ইউনিটের জন্য ১৮ থেকে ৩১ বছর বয়সের তরুণ ও যুবকদের নিয়োগ করেছিল জঙ্গিরা। সেই ইউনিটের মাধ্যমেই বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
[এবার মূর্তি ভাঙার অভিযোগে গ্রেপ্তার সিআরপিএফ জওয়ান]
The post বানচাল বুদ্ধগয়ায় হামলার ছক, মহারাষ্ট্র এটিএসের জালে ৫ আইএস জঙ্গি appeared first on Sangbad Pratidin.