স্টাফ রিপোর্টার: জোড়া জয়ের উচ্ছ্বাসে আপাতত লাগাম টেনে ওড়িশা এফসিকে (odisha fc) নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করে দিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। কোচ লোপেজ অ্যান্তনিও হাবাস প্রত্যেককে বুঝিয়ে দিয়েছেন, ডার্বি এখন অতীত। এবার তোমরা প্রস্তুত হও বৃহস্পতিবারের ম্যাচের জন্য।
শুক্রবার ডার্বি হওয়ার দরুণ শনিবার প্র্যাকটিসে নামেনি সবুজ-মেরুন শিবির। পুরো দলকে বিশ্রামে পাঠিয়ে ছিলেন স্প্যানিশ কোচ। রবিবার বিকেলে প্র্যাকটিস শুরু করার আগে প্রত্যেককে জানিয়ে দেন, জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলতে হবে। গতকাল আবার জামশেদপুরের বিরুদ্ধে শুরুতে ২-০ গোলে পিছিয়ে গেলেও পরে দিয়েগো মউরিসিও গোল দু’টি দিয়ে ম্যাচ ড্র করে দেন। ম্যাচটি এটিকে শিবিরের সকলে দেখেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক সিনিয়র ফুটবলার গোয়া থেকে ফোনে বলছিলেন, “কোচ আমাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ডার্বি ম্যাচ নিয়ে আর আলোচনা যেন না হয়। যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। এখন আমাদের ওড়িশা ম্যাচ নিয়ে ভাবতে বলেছেন। তার জন্য একটা ছকও কষে ফেলেছেন কোচ। সেই হিসাবে প্র্যাকটিসও শুরু হয়েছে। মাঝে আরও তিনদিন আছে। তাই এই তিন দিনের মধ্যে আমাদের নাগাড়ে সেই প্র্যাকটিস চালিয়ে যেতে হবে।”
[আরও পড়ুন: মুম্বই ম্যাচের আগে বিপক্ষকে কড়া বার্তা লাল–হলুদ অধিনায়কের, কী বললেন তিনি?]
আইএসএলে (ISL 2020) নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওড়িশা হারলেও দ্বিতীয় খেলা ড্র করেছে। তাও আবার পিছিয়ে থেকে। ফলে হারানো মনোবল তারা ফিরে পেয়েছে। তাই এটিকে মোহনবাগানকে (ATK Mohun Bagan) সতর্ক হয়ে নামতে হবে। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে সিনিয়র ফুটবলারটি বলছিলেন, “জানি, আমাদের বৃহস্পতিবারের লড়াইটা সহজ হবে না। বিশেষ করে তারা যখন দু’গোলে পিছিয়ে থেকে ম্যাচটা ২-২ গোলে ড্র করেছে। তাই হাবাস বলেছেন, প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে। বিশেষ করে ডিফেন্ডারদের বলেছেন, সহজে হাল ছাড়া চলবে না।” দিয়েগো মউরিসিওকে নিয়ে যে বিশেষ প্ল্যান থাকবে তাও জানিয়ে দিলেন দলের সিনিয়র ফুটবলারটি। তিনি আরও বলছিলেন, “ওড়িশা দলটায় জুনিয়র ফুটবলারের সংখ্যা বেশি। তাদের মরিয়া মনোভাব ম্যাচে আরও বেশি করে লক্ষ্য করা গিয়েছে। ওদের দৌড় থামানোর পরিকল্পনা আমাদের নিতেই হবে। যাই হোক না কেন, আমরা প্রস্তুত।”
রবিবার এডু গার্সিয়া প্র্যাকটিসে নেমেছিলেন। দলের সঙ্গেই তিনি প্র্যাকটিস করেন। ডার্বিতে তাঁর হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট থাকায় দলে রাখা হয়নি। ওড়িশা ম্যাচে তিনি হয়তো ফিরতে চলেছেন। তবে এডুকে না পেলেও এটিকে মোহনবাগানের খুব সমস্যা হবে বলে মনে হয় না।