সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতবার নিজের দলকে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই সপ্তম আইএসএল অভিযানে নেমেছিলেন অ্যান্তোনিও লোপেজ হাবাস। আর শুরুতেই বাজিমাত। রয় কৃষ্ণর গোলে কেরালা ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে যাত্রা শুরু করে এটিকে-মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। তবে প্রথম জয় নিয়ে তৃপ্ত থাকতে রাজি নন। বরং এবার তাঁর ভাবনায় ডার্বি। তাই তো ম্যাচ শেষ হতেই জানিয়ে দিলেন, কেরালা অতীত। এবার এসসি ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে ভাবনা শুরু।
করোনার প্রকোপে দীর্ঘদিন স্তব্ধ ছিল খেলার দুনিয়া। মরুশহরে আইপিএল দিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করে ক্রীড়াজগৎ। আর আইপিএল শেষ হতেই মরুভূমি থেকে ফোকাস সোজা এসে পৌঁছেছে সমুদ্রসৈকতে। গোয়ায় বসেছে আইএসএলের আসর। ময়দানের দুই প্রধান যুক্ত হওয়ায় টুর্নামেন্টের জৌলুসও বেড়েছে কয়েকগুণ। তাই তো দুই দলের উপর প্রত্যাশার চাপ রয়েই গিয়েছে। ফলে উভয় পক্ষেই প্রস্তুতি তুঙ্গে। এরই মধ্যে প্রথম ম্যাচ জিতে হাবাস বললেন, “আট মাস পর প্রতিযোগিতায় নামাটা খুব কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে এরপরও দলের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া ছিল। দলগত পারফরম্যান্সেই জয় এসেছে। কেরালাও খুব ভাল খেলেছে। কিন্তু আমার ছেলেদের খেলায় আমি খুব খুশি। এবার এসসি ইস্টবেঙ্গল নিয়ে ভাবনার পালা। সেই জন্য আমরা রোজ প্র্যাকটিস করছি।”
২৭ নভেম্বর ডার্বি দিয়েই প্রথমবার আইএসএল অভিযান শুরু লাল-হলুদের (SC East Bengal)। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর টুর্নামেন্টে খেলা নিশ্চিত করেছে দল। সমর্থকরাও আশায় বুক বেঁধেছে, যে ফুটবল মাঠের অতীত সাফল্য এই টুর্নামেন্টেও বজায় রাখবে ইস্টবেঙ্গল। তবে শত্রুতা তো মাঠে। মাঠের বাইরে সখ্যতা অটুট। আর করোনা কালে একসঙ্গে উন্নতির সিঁড়ি চড়েছে ময়দানের তিন প্রধান। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহামেডান। প্রথম দুই ক্লাব যেমন খেলছে আইএসএলে, তেমনই দীর্ঘদিন পর আই লিগে খেলবে মহামেডান স্পোর্টিং। তাই আইএসএলের শুরুতেই দুই ক্লাবকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে মহামেডান। পালটা টুইট করে মহামেডান ও এটিকে মোহনবাগানকে অভিনন্দন জানাতে ভোলেনি এস ইস্টবেঙ্গলও। হাজারো প্রতিযোগিতার মাঝেও এই ঐক্যই শেষমেশ জিতিয়ে দেয় ফুটবলকে। উসকে দেয় বাঙালির ফুটবল আবেগকেও।