স্টাফ রিপোর্টার: তিন ম্যাচে নয় পয়েন্ট নিয়ে হয়তো পয়েন্টের বিচারে অনেকটাই এগিয়ে আছে এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohunbagan)। কিন্তু শুক্রবারের প্রতিপক্ষ হায়দরাবাদ এফসিও (Hyderabad FC) এখনও পর্যন্ত অপরাজিত। উলটোদিকে শেষ ম্যাচে আবার জামশেদপুর এফসির (Jamshedpur FC) কাছে ২ গোলে হেরে গিয়ে কিছুটা হলেও চাপে রয়েছেন এটিকে মোহনবাগান কোচ হাবাস। বিশেষ করে শেষ ম্যাচে সেটপিস থেকে যেভাবে দুটো গোল খেতে হয়েছে, সেটাই চিন্তার মূল কারণ। তবে এটিকে মোহনবাগান কোচ এই ব্যাপারটিকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে রাজি নন।
এই প্রসঙ্গে হাবাস বলছিলেন, “সেটপিস থেকে কীভাবে গোল বাঁচাতে হয় জানি। গত মরশুমে সেটপিস থেকে মাত্র একটাই গোল খেয়েছি। আসলে প্রতিপক্ষ দলে ভালসকিসের মতো ফুটবলাররা থাকলে অনেক কিছুই ঠিক হয় না। তবে এটুকু বলতে পারি, সেটপিসে গোল আটকানোর ব্যাপারে আমরা এখন আরও উন্নতি করেছি। আমার ছেলেদের উপর যথেষ্ট ভরসা আছে। আমি নিশ্চিত ওরা এই ভুল আর করবে না।” কম সময়ের মধ্যে পর পর ম্যাচ খেলাটা কোনও সমস্যার হচ্ছে কি না জিজ্ঞাসা করে হলে হাবাস বললেন, “দেখুন ফরম্যাটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আমার হাতে সমাধানের কোনও রাস্তা নেই। তবে এভাবে কম সময়ের মধ্যে বেশি ম্যাচ খেলাটা সত্যিই সমস্যার। আর্দ্রতা, সঙ্গে চোটজনিত সমস্যা। এগুলোও সঙ্গে ভাবতে হবে। ফুটবলাররা মানুষ। তারা তো আর মেশিন নয়।”
[আরও পড়ুন: অ্যাথলিটকে ধর্ষণ! সিআরপিএফে মধুচক্র চালানোর অভিযোগ অর্জুন পুরস্কারজয়ী কর্তার বিরুদ্ধে]
জামশেদপুর ম্যাচে শুধু সেটপিস নয়। মিডফিল্ড নিয়েও কিন্তু সমস্যায় পড়তে হয়েছিল এটিকে মোহনবাগান কোচকে। হাবাস বললেন, “এটাও মাথায় রাখতে হবে, চোটের জন্য সুসাইরাজ নেই। ডেভিড উইলিয়মস, জাভি হার্নান্ডেজকে নিয়েও সমস্যা রয়েছে। তবে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আমরা এই সমস্যাগুলো কাটিয়ে তুলতে পারব বলে আশা করছি।” জামশেদপুরের বড় চেহারার ডিফেন্ডারদের সামনে কিন্তু মাঝে মধ্যে অসহায় লেগেছে রয় কৃষ্ণকে। হাবাস অবশ্য এই তথ্য মানতে চাইলেন না। বললেন, “এটা ঠিক যে রয় কৃষ্ণ আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন ফুটবলার। কিন্তু কোনও গোলের পিছনে একজন ফুটবলার নয়। অনেক ফুটবলারের অবদান থাকে। সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই গোলের সুযোগ তৈরি হয়।”
জামশেদপুরের মতো হায়দরাবাদও লং বল খেলতে অভ্যস্ত । তাতে খুব একটা চিন্তিত নন এটিকে মোহনবাগান কোচ। বললেন, “আমার ফুটবলারদের উপর যথেষ্ট ভরসা আছে। আর পরিসংখ্যান দিয়ে সব সময় ফুটবল হয় না। প্রতিটা ম্যাচ নতুন ম্যাচ।” সুসাইরাজের চোটের পর এটিকে মোহনবাগানের বাঁদিক থেকেও প্রচুর আক্রমণ হচ্ছে। হাবাস বললেন, “তাতে হায়দরাবাদ ম্যাচে কোনও সমস্যা হবে না। দলের সব ফুটবলারের উপরেই আমার ভরসা রয়েছে। আমার মনে হয় না, কোনও একটি বিশেষ পজিশনে আমার দুর্বলতা রয়েছে।”