জামশেদপুর এফসি: ২ (ভালসকিস্)
এটিকে মোহনবাগান: ১ (রয় কৃষ্ণ)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেরিজাস ভালসকিস্। দুরন্ত ফর্মে থাকা জামশেদপুরের এই স্ট্রাইকারকে আটকানোই ছিল তিরি-সন্দেশ জিঙ্ঘানদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। জামশেদপুর কোচ ওয়েন কয়েলও জানতেন তাঁর দলের শক্তি এই নামটিই। সোম-সন্ধেয় সত্যিই তিনি পার্থক্য গড়ে দিলেন। কার্যত একাই অঘটন ঘটিয়ে দিলেন। তাঁর জোড়া গোলেই থামল এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan) বিজয়রথ। চলতি আইএসএলে (ISL 2020) টানা তিন ম্যাচ জয়ের পর চতুর্থ ম্যাচে গোল হজম করে পরাস্ত হল হাবাস ব্রিগেড। উলটোদিকে, একটি হার ও দুটি ড্রয়ের পর মরশুমের প্রথম জয় এল জামশেদপুর শিবিরে।
এদিন প্রথম থেকেই লড়াই হয় হাড্ডাহাড্ডি। দুই অর্ধেই একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করেন দুই দলের ফুটবলাররা। তবে সমস্ত লাইমলাইট কেড়ে নিয়ে যান একজনই। দুবারই কর্ণার কিককে কাজে লাগিয়ে দুরন্ত গোল করেন ভালসকিস্। দু’বারই কর্ণার কিক নেন মনরয়। তবে ফ্রি-কিক থেকে প্রায় নিশ্চিত গোল অরিন্দম আটকে না দিলে হয়তো আরও ব্যবধানে বাড়িয়ে ফেলত ওয়েনের দল।
[আরও পড়ুন: আশঙ্কাই সত্যি হল! করোনার জেরে বাতিল দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড সিরিজ, বিপুল ক্ষতি বোর্ডের]
এদিন চোট সারিয়ে তিরি ফেরায় রক্ষণ শক্তিশালী হবে বলেই মনে করা হয়েছিল। দুরন্ত ফর্মে থাকা সন্দেশও গত তিন ম্যাচে ডিফেন্স ভাঙার সুযোগ দেননি। কিন্তু এদিন কর্ণার কিক থেকেই বাজিমাত করে জামশেদপুর। দ্বিতীয়ার্ধে রয় কৃষ্ণ গোল করলেন ঠিকই, কিন্তু সেই গোল নিয়েও শুরু হয়েছে তর্ক-বিতর্ক। বিপক্ষ ফুটবলাররা গোলটি অফসাইড বলেই দাবি করেন। তবে শেষ মুহূর্তে মনবীর গোলের সহজ সুযোগ হাতছাড়া না করলে অন্তত এক পয়েন্ট নিয়েই ফিরতে পারত হাবাসের দল।
আপাতত ৪ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে এটিকে মোহনবাগান। আর প্রথম জয়ের পর চার ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট ঝুলিতে ভরে সাত নম্বরে উঠে এল জামশেদপুর।