স্টাফ রিপোর্টার: নিজে বেশ কয়েকবার গোলের কাছাকাছি গিয়েও সফল হননি। তবে তাতে হতাশ নন। বরং দল জয়ের মধ্যে ফিরেছে, সেটাই স্বস্তির লাল–হলুদ জনতার নয়া হার্টথ্রব ব্রাইট এনোবাখারের কাছে। এর পাশাপাশি প্রশংসা করলেন দেবজিতেরও।
শনিবার বেঙ্গালুরু এফসিকে হারানোর পর নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে ব্রাইট বলেন, “আমি গোল পাইনি তা নিয়ে মোটেই হতাশ নই। বেশ কয়েকবার গোলের কাছে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছি, এটা ঠিক। একবার অফসাইডের কথা ভেবে থমকে গিয়েছিলাম। যাই হোক বড় ব্যাপার হল, দল তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে। যা আমাদের কাছে খুব প্রয়োজন ছিল।” গত ম্যাচে গোয়ার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছিল লাল-হলুদ শিবির। এদিন দল আবার জয়ের মধ্যে ফিরল। ব্রাইট মনে করছেন, এটাও দলের কাছে ইতিবাচক দিক।
[আরও পড়ুন: বাঁ-হাতের আঙুলে গুরুতর চোট, অজিদের বিরুদ্ধে চলতি সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন জাদেজা]
নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার শনিবার পুরো মাঠ জুড়ে খেলেছেন। আক্রমণের সময় উপরে যেমন উঠে গিয়ে নীল জার্সিধারীদের শিবিরে ত্রাস ছড়িয়েছেন। আবার প্রতিপক্ষের আক্রমণের সময় নেমে এসেছেন নীচে। কোচ রবি ফাউলার কার্ড সমস্যার কারণে রিজার্ভ বেঞ্চে বসতে পারেননি। কিন্তু খেলার আগে তাঁর কি কোনও নির্দেশ ছিল? এই প্রসঙ্গে ব্রাইট বলেন, “না, তিনি আমাকে বরাবর বলে আসছেন, ম্যাচটা যেন সবসময় আমি উপভোগ করি। উনি আমাকে চাপ নিতে বারণ করেছেন। তবে একটা কথা বলতে পারি, একটা জায়গায় দঁাড়িয়ে খেলতে আমার ভালো লাগে না।”
স্টেইনম্যানের গোলে বেঙ্গালুরুকে হারালেও ম্যাচের সেরা হয়েছেন গোলকিপার দেবজিৎ মজুমদার। বেশ কয়েকবার তিনি এসসি ইস্টবেঙ্গলের নিশ্চিত পতন রোধ করেন। ব্রাইট জানিয়ে দিলেন, দেবজিতের খেলায় দলের প্রত্যেকে দারুণ খুশি। “আমি চাইব, প্রতিটি ম্যাচে এভাবে নিজেকে তুলে ধরুক,” বলে দেন ব্রাইট। এদিকে, ম্যাচের সেরা হয়ে দেবজিৎ মজুমদার জানিয়ে দিলেন, তিন পয়েন্ট পাওয়া তাঁদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। “এই জয় আমাদের দলকে বাড়তি মনোবল জোগাবে। তিন পয়েন্ট পাওয়া তাই আমাদের কাছে খুব জরুরি ছিল,” বলেন দেবজিৎ।