ইস্টবেঙ্গল: ০
জামশেদপুর: ২ (রেই, চুংনুঙ্গা আত্মঘাতী)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইএসএলে হারের হ্যাটট্রিক অতীত। এবার চার ম্যাচে হার। কার্লেস কুয়াদ্রাতের বিদায়েও ছবিটা বদলাল না। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ বিনো জর্জ আশা করেছিলেন জামশেদপুর ম্যাচেই 'ঘুরে দাঁড়াবে' ইস্টবেঙ্গল। আশা তো করেছিলেন ভক্তরাও। কিন্তু কোথায় কী? কোচ বিদায়েও পয়েন্টের খাতা খুলল না লাল-হলুদের। তিন থেকে হারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪ নম্বরে। অসংখ্য গোলের সুযোগ মিস করে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল হার মানল ২-০ গোলে। সেই সঙ্গে পেনাল্টি মিস করার খেসারত দিলেন ক্রেসপোরা।
কুয়াদ্রাত জমানার পর বিনো জর্জের প্রথম একাদশে খুব একটা বদল আনেননি। লেফট ব্যাকের জায়গায় এসেছেন প্রভাত লাকরা। আর হিজাজি মাহেরের জায়গায় শুরু করলেন হেক্টর ইউয়েস্তে। অথচ প্রথম গোল খেতে লাগল মাত্র ২১ মিনিট। কিন্তু দাপট ছিল ইস্টবেঙ্গলেরই। গোল মিসের প্রতিযোগিতায় নাম লেখালেন তালাল-ক্লেটনরা। বিশেষ করে ক্লেটন যেসব সুযোগ মিস করেন, তাতে প্রথমার্ধেই একাধিক গোলে এগিয়ে যাওয়ার কথা। সেখানে ২১ মিনিটে গোলার মতো শটে জামশেদপুরকে এগিয়ে দেন রেই তাচিকাওয়া।
ছবিটা অনায়াসে অন্যরকম হতে পারত। ফাঁকা গোলের সামনে একাধিক গোলের সুযোগ মিস করেন শুধু ক্লেটনই। তালাল-নন্দরাই বা বাদ যান কেন? তারাও সমান তালে গোল মিস করে গেলেন। বলা যায়, নিজেদের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দিলেন সল ক্রেসপো। পিভি বিষ্ণু এদিনও নেমেই সপ্রতিভ। পেনাল্টিও আদায় করে দিলেন। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল মাঝমাঠের 'স্তম্ভ' ক্রেসপোর দুর্বল শট ঠেকাতে বিন্দুমাত্র পরিশ্রম করতে হয়নি জামশেদপুরের গোলকিপারকে।
ইস্টবেঙ্গলের জন্য যে কোনও কিছুই ঠিকঠাক হচ্ছে না, তা ফের প্রমাণ পাওয়া গেল ৭০ মিনিটে। নিজের গোলেই বল জড়িয়ে দিলেন লাল-হলুদ ডিফেন্ডার চুংনুঙ্গা। এর পর আর বহুব্যবহৃত 'কামব্যাক'-এর ভাবনা বোধহয় আর কোনও সমর্থকই ভাবেননি। কুয়াদ্রাতের বিদায়েও ইস্টবেঙ্গলের ছবি বদলাল না। বরং লিগ টেবিলে সবার শেষেই রইল বিনো জর্জের দল।