মহামেডান- ১ (অ্যালেক্সিস)
গোয়া- ১ (সাদিকু)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইএসএলে পয়েন্টের খাতা খুলল মহামেডান। ঘরের মাঠে এফসি গোয়ার সঙ্গে ড্র করে পয়েন্ট ঢুকল সাদা-কালো ব্রিগেডের ঝুলিতে। কিন্তু একই সঙ্গে নিশ্চয়ই আন্দ্রে চেরনিশভ বুঝে গেলেন আইএসএলের মঞ্চটা কতটা কঠিন। গতবারের আই লিগ চ্যাম্পিয়নরা খেললেন দাপটের সঙ্গেই। অ্যালেক্সিসের গোলে এগিয়েও গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে তিন পয়েন্ট হাতছাড়া হল। এ যেন ঠিক আগের ম্যাচের ছবিটাই। তখন নর্থইস্টের কাছে হার হজম করতে হয়েছিল। এদিন ৯৪ মিনিটে গোল করে মহামেডানের জয়ের আশায় জল ঢাললেন আর্মান্দো সাদিকু।
আগের ম্যাচে প্রশংসিত হয়েছিল ব্ল্যাক প্যান্থারদের লড়াই। এদিন তুলনায় অনেক বেশি আক্রমণাত্মক দেখাল অ্যালেক্সিস গোমেজকে। শুরুর দিকে গোয়ার ঝটিতি আক্রমণ সামলানোর পর বাকি সময় প্রাণবন্ত ফুটবল খেললেন তাঁরা। কিশোর ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ম্যাচের ৫ মিনিটেই গোলের সুযোগ এসে গিয়েছিল গোয়ার সামনে। কিন্তু সেভ করে দেন মহামেডানের গোলকিপার পদম ছেত্রী। তার পর একাধিক আক্রমণ শানিয়েছে চেরনিশভের ছেলেরা। বিশেষ করে বাঁ প্রান্ত থেকে মাকান ছোটে বার বার ব্যতিব্যস্ত করে তুলছিলেন মানোলো মার্কেজের দল।
১৪ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে ঢুকে যান ফানাই। তাঁর শট বাঁচিয়ে দেন গোয়ার গোলকিপার। ২৫ মিনিটে আরও একবার গোলের মুখ খুকে যেতে পারত মহামেডানের জন্য। ফ্রাঙ্কার শট বারে লেগে ফিরে আসে। কিন্তু তাঁকে ধরে রাখতে রীতিমতো হিমশিম খেল গোয়ার। ডিফেন্ডারদের পিছন থেকে আচমকা গতি বাড়িয়ে ঢুকে যান। শারীরিকভাবেও যথেষ্ট শক্তিশালী ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ড। আক্রমণে আরও একটু সহায়তা পেলে ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবেন তিনি।
অবশ্য ফ্রাঙ্কা আর অ্যালেক্সিসের মাধ্যমেই আইএসএলে প্রথম গোলের দেখা পেল মহামেডান। ৬৪ মিনিটে গোয়ার ডিফেন্ডার ওদেইকে অসাধারণ ড্রিবলিংয়ে পরাস্ত করে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন ফ্রাঙ্কা। তাঁকে ফাউল করতে বাধ্য হন ওডেই। পেনাল্টি থেকে গোল করে যান অ্যালেক্সিস। যদিও ব্যবধানটা আরও অনেক বাড়তে পারত। সেই ফ্রাঙ্কাই ৭২ মিনিটে ফাঁকা গোলের সামনে হেড দিতে ব্যর্থ। অফসাইড মনে হলেও রেফারি সেদিকে ইঙ্গিত করেননি। ফলে গোল হলে ইনসুরেন্সটা পেয়ে যেত মহামেডান। তার খানিক আগেই অবশ্য সহজ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন ফানাই। এবার তিনি উড়িয়ে দিলেন বারের উপর দিয়ে। তারই খেসারত দিতে হল ৯৪ মিনিটে।
মাঠের বাঁ প্রান্ত থেকে ভেসে আসা ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে দিলেন সাদিকু। আর তাতেই তিন পয়েন্টের স্বপ্নভঙ্গ। ধূলিসাৎ হয়ে গেল যাবতীয় লড়াই। শেষ পর্যন্ত এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে মহামেডানকে।