মোহনবাগান: ২ (ম্যাকলারেন, দিমিত্রি)
ইস্টবেঙ্গল: ০
উৎসবের মরশুমে মোহনবাগানের ডার্বিজয়। হোসে মোলিনার দল ইস্টবেঙ্গলকে হারাল ২-০ গোলে। সবুজ-মেরুনের হয়ে গোল করলেন ম্যাকলারেন ও দিমিত্রি পেত্রাতোস। তবে ব্যবধানটা মোহনবাগানের পক্ষে আরও বাড়ত পারত। একাধিক সহজ সুযোগ মিস করলেন ম্যাকলারেন-মনবীররা। গোটা ম্যাচ জুড়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করলেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট। অন্যদিকে সেই আঁধারেই রইল ইস্টবেঙ্গল। কোচ বদলেও সাফল্য এল না। এখনও জয়ের দেখা পেল না ইস্টবেঙ্গল। টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে লিগ টেবিলে সবার শেষেই রইল অস্কার ব্রুজোর দল। আর মোহনবাগান উঠে এল দ্বিতীয় স্থানে।
ম্যাচ শেষ: ২-০ গোলে ডার্বি জয় মোহনবাগানের। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে গোল করলেন ম্যাকলারেন ও দিমিত্রি।
৮৯ মিনিট: পেনাল্টি থেকে গোল দিমিত্রি পেত্রাতোসের। তার আগে দিমিকেই বক্সের মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন গিল। ২-০ গোলে এগিয়ে গেল মোহনবাগান।
৮৩ মিনিট: পেনাল্টির আবেদন স্টুয়ার্টের। কিন্তু কর্ণপাত করলেন না রেফারি।
৭৫ মিনিট: স্টুয়ার্টের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট।
৭২ মিনিট: আক্রমণের চেষ্টা ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু গোলের কাছাকাছি পৌঁছতে পারছেন না তালালরা।
৬৪ মিনিট: ইস্টবেঙ্গলের ক্লেটনের জায়গায় নামলেন দিয়ামান্তাকোস। তার আগেই একটি সুযোগ চলে এসেছিল লিস্টনের কাছে। কিন্তু গোলের ব্যবধান বাড়েনি।
৫৯ মিনিট: প্রতি আক্রমণে গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারতেন লিস্টন। তাঁর দূরপাল্লার শট বাঁচিয়ে দেন গিল।
৫২ মিনিট: দ্বিতীয়ার্ধেও ছবিটা একই রকম। ক্রমাগত আক্রমণ মোহনবাগানের।
৪৮ মিনিট: ফের গোলের সুযোগ এসে গিয়েছিল মোহনবাগানের কাছে। কিন্তু অনেকটা বেরিয়ে এসে মনবীরকে আটকে দিলেন গিল।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু: খেলা শুরু দ্বিতীয়ার্ধের। ইস্টবেঙ্গল কি কামব্যাক করতে পারবে? বাকি ব্যবধান আরও বাড়াবে মোহনবাগান? ইস্টবেঙ্গল এর মধ্যেই ফুটবলার পরিবর্তন করেছে। ডেভিডের জায়গায় এসেছেন পিভি বিষ্ণু।
প্রথমার্ধ শেষ: ১-০ গোলে এগিয়ে মোহনবাগান। যদিও একাধিক গোলের সুযোগও নষ্ট করলেন ম্যাকলারেনরা। অন্যদিকে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি আক্রমণ ছাড়া সেভাবে নজরে পড়লেন না ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণভাগের ফুটবলাররা।
৪১ মিনিট: সেই ম্যাকলারেন। প্রভসুখন গিলের পায়ের সামনে দিয়েই গোল করে গেলেন তিনি। মোহনবাগান এগিয়ে গেল ১-০ গোলে। ডানদিক থেকে বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মনবীর সিং। আনোয়ার-ইউস্তেদের টপকে জালে বল জড়িয়ে দিলেন ম্যাকলারেন।
৪০ মিনিট: ফের গোলের সুযোগ এসে গিয়েছিল মোহনবাগানের। এবারও কাজে লাগাতে ব্যর্থ কোলাসো-ম্যাকলারেনরা।
৩০ মিনিট: দূরপাল্লার শট লিস্টনের। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে কর্নার হয়ে যায়।
২৫ মিনিট: কর্নার থেকে দুরন্ত হেড মনবীরের। বাঁচিয়ে দেন গিল। ফিরতি বল বাঁচিয়ে দেন ইউস্তে।
১৮ মিনিট: গোল করে দিয়েছিলেন মনবীর সিং। কিন্তু অফসাইডের জন্য তা বাতিল করা হয়।
১৭ মিনিট: সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট ম্যাকলারেনের। ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ। মারলেন সোজা গিলের গায়ে।
১০ মিনিট: বলের দখল মোহনবাগানের কাছেই। এখনও সেভাবে আক্রমণেই উঠতে পারেনি লাল-হলুদ বাহিনী।
৩ মিনিট: ইস্টবেঙ্গল বক্সে শুরু থেকেই ক্রমাগত আক্রমণ মোহনবাগানের। এসে গিয়েছিল গোলের সুযোগও।
সন্ধ্যা ৭:৩০- বল গড়াল মরশুমের প্রথম কলকাতা ডার্বির।
মোহনবাগানের প্রথম একাদশ: বিশাল কাইথ, টম অলড্রেড, আলবার্তো রদ্রিগেজ, আশিস রাই, শুভাশিস বোস (অধিনায়ক), অনিরুদ্ধ থাপা, আপুইয়া, লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিং, গ্রেগ স্টুয়ার্ট, জেমি ম্যাকলারেন।
ইস্টবেঙ্গল প্রথম একাদশ: প্রভসুখন গিল, মহম্মদ রাকিপ, হেক্টর ইউস্তে, আনোয়ার আলি, প্রভাত লাকরা, সৌভিক চক্রবর্তী, সল ক্রেসপো, নন্দ কুমার, ক্লেটন সিলভা (অধিনায়ক), মাদিহ তালাল, ডেভিড।