স্টাফ রিপোর্টার: যুবভারতীতে (Yuba Bharati) ফুটবল উৎসবে বিষাদের ছায়া। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বি দেখতে গিয়ে মৃত্যু হল এক ইস্টবেঙ্গল ভক্তের। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ময়দানে। শনিবার ডার্বি দেখতে যুবভারতীতে গিয়েছিলেন ৬২ হাজারের বেশি দর্শক। কানায় কানায় ভরতি স্টেডিয়াম ডার্বিতে অন্য মাত্রা যোগ করেছিল। কিন্তু দিনের শেষে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) সমর্থকের মৃত্যুতে সব আনন্দই যেন ফিকে হয়ে গেল।
শনিবার বন্ধুদের সঙ্গে ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন বাগুইআটি দেশবন্ধুনগরের জয়শংকর সাহা (৩৮)। খেলার দ্বিতীয়ার্ধে আচমকাই তিনি গ্যালারিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁর বন্ধু তথা বিধাননগর পুলিশের (Bidhan Nagar Police) এক আধিকারিক তাঁকে দ্রুত সল্টলেকের আমরি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। রাত ন’টা ৭ মিনিটে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃত জয়শংকরের পরিবারে স্ত্রী এবং এক সন্তান রয়েছে। মৃতদেহ এখনও পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। রবিবার প্রয়াত জয়শংকরবাবুর (Jay Shankar Saha) দেহের ময়নাতদন্ত হবে।
[আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলকে ডোবাল গোলরক্ষকের ভুল! যুবভারতীতে ডার্বি জিতে সপ্তম স্বর্গে মোহনবাগান]
পুলিশ সূত্রের খবর, ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জয়শংকরবাবু আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাঁর মুখ দিয়ে রক্ত বেরোতে থাকে। চিকিৎসকদের ধারণা, ‘মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনে’র (Myocardial Infarction) কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। সাধারণত ‘মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনের আগে নিশ্বাস নিতে কষ্ট ও বুকে ব্যথা হয়। খেলার উত্তেজনায় তা বুঝতে পারেননি জয়শংকর। লুটিয়ে পড়ার আগে পর্যন্ত অন্য সমর্থকরাও তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথা বুঝতে পারেননি। লুটিয়ে পড়ার পর পুলিশ তাঁকে এসকর্ট করে নিয়ে আসে স্থানীয় আমরি হাসপাতালে। চিকিৎসকরা তাঁকে বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করলেও, সব চেষ্টা বিফলে যায়। হাসপাতালে পৌঁছানোর আধ ঘণ্টা পরই তাঁর মৃত্যু হয়।
[আরও পড়ুন: বেকারত্ব দূর করতে মিছিল, আমজনতাকেই পেটাল মুখোশধারী আন্দোলনকারীরা! ভাঙচুর অ্যাম্বুল্যান্সেও]
শনিবার যুবভারতীতে আইএসএলের (ISL) প্রথম ডার্বিতে জয়শংকরবাবুর প্রিয় দল ২-০ গোলে পরাজিত হয়েছে। যদিও ম্যাচের সেই ফলাফল দেখার আগেই মৃত্যু হয় ইস্টবেঙ্গল অন্তঃপ্রাণ জয়শংকর সাহার। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে ময়দানে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ইস্ট-মোহন দুই শিবিরই শোকগ্রস্ত। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে আলাদা করে শোকপ্রকাশ করা হয়েছে। শোকপ্রকাশ করেছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনও।