সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’দশকের লড়াই শেষে কার্যত হেরে গিয়েই আফগানিস্তান ছেড়েছে মার্কিন সেনা। গত আগস্টে কাবুল দখল করেছে তালিবান (Taliban)। কিন্তু এখনও আফগানিস্তান গলার কাঁটা হয়েই রয়েছে ওয়াশিংটনের। আগামী ৬ মাসের মধ্যে সেদেশে হামলা চালাতে পারে আফগানিস্তানে অবস্থিত আইএস জঙ্গি গোষ্ঠী (ISIS-K)। খোদ মার্কিন গোয়েন্দা দপ্তরই এই আশঙ্কা করছে।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে তালিবান ও ইসলামিক স্টেট (খোরাসান)-এর মধ্যে রক্তাক্ত সংঘাতের আবহ তৈরি হয়ে গিয়েছে মার্কিন সেনা সেদেশ ছাড়ার পর থেকেই। মসজিদ থেকে শুরু করে অন্যান্য অঞ্চলে আত্মঘাতী হামলা ঘটিয়ে ইতিমধ্যেই তালিবানকে কড়া চ্যালেঞ্জ দিয়েছে আইএস। তাদের উত্থান কেবল তালিবান নয়, ভাবাচ্ছে আমেরিকাকেও। বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তানে ক্রমে শিকড় মজবুত করছে সুন্নি জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (খোরাসান)। এবং ভবিষ্যতে তা তালিবানের মাথাব্যথার প্রধান কারণ হয়ে উঠতে চলেছে। বলে রাখা ভাল, তালিবান ও আইএস দুটোই সুন্নি জেহাদি সংগঠন। তবে ইসলামের ব্যাখ্যা ও মতবাদ নিয়ে দুই দলের মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে।
[আরও পড়ুন: শেষবেলায় কোহলিদের হেডস্যর পদে আবেদন দ্রাবিড়ের, তবে কি জল্পনাই সত্যি হচ্ছে?]
এদিকে আল কায়দাও এক থেকে দু’বছরের মধ্যে আগের চেহারায় ফিরতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। সব মিলিয়ে আফগানিস্তান খুব দ্রুত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির ‘স্বর্গ’ হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও তালিবান জানিয়েছে, আফগান মাটিকে ব্যবহার করে অন্য দেশের বিরুদ্ধে কোনও রকম জঙ্গি হামলা হতে দেবে না তারা। কিন্তু পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে, তাতে তেমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এদিন আমেরিকার মন্তব্যেও সেই সুরই দেখা গেল।
পেন্টাগনের সিনিয়র আধিকারিক কলিন কাল মার্কিন কংগ্রেসে এই আশঙ্কার কথা তুলে ধরেছেন। তাঁর মতে, আইএস ৬ মাসের মধ্যেই আমেরিকায় হামলা চালানোর মতো শক্তিশালী হয়ে উঠবে। এবং তারা সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এগোচ্ছে বলে জানান তিনি। সেই সঙ্গে আল কায়দার উত্থানের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। যাতে এই দুই গোষ্ঠী কোনও ভাবে আমেরিকায় হামলা চালাতে না পারে তা নিশ্চিত করাই আমেরিকার লক্ষ্য বলেই জানিয়েছেন কলিন।