সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিরস্ত্র প্যালেস্তিনীয়দের খুন করছে ইজরায়েলি সেনা! তাও আবার তাঁদের পরিবারের সামনেই! বিস্ফোরক অভিযোগ আনল রাষ্ট্রসংঘ। যদিও এই অভিযোগ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি ইজরায়েলের সেনা।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের তরফে জানানো হয়, গাজার আল রেমাল এলাকার আল আওদা বিল্ডিংয়ের দখল নেয় ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস। সেখানে আশ্রয় নিয়েছে একাধিক পরিবার। অভিযোগ, ইজরায়েলের সেনা সেখানে প্রথমে মহিলা ও শিশুদের থেকে পুরুষদের আলাদা করে দেয়। তার পর অন্তত ১১ জনকে পরিবারের সদস্যদের সামনেই গুলি করে খুন করা হয়। নিহতদের মধ্যে অনেকের বয়স ২০ থেকে ৩০-এর মধ্যে। ইতিমধ্যেই এই বিস্ফোরক অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। যদি এই অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে এটা ইজরায়েলি সেনার যুদ্ধাপরাধ হবে।
[আরও পড়ুন: ‘অস্ত্র ছাড়ো নয় মরো’, হামাসকে চরম হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর]
এদিকে, হামাস বনাম ইজরায়েল সংঘাতে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। নিহতদের মধ্যে শিশু ও মহিলার সংখ্যাই বেশি। কিন্তু যুদ্ধ থামাতে নারাজ ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Netanyahu)। ফের একবার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, ”একটা সহজ বাছাই করতে হবে হামাসকে। হয় আত্মসমর্পণ করো নয় মরো। এছাড়া আর কোনও অপশন নেই। জয় না আসা পর্যন্ত আমরা লড়ব।” প্রসঙ্গত, এর আগেও এই নিয়ে এমনই মন্তব্য করেছিলেন নেতানিয়াহু। এবারও সেটাই বজায় রেখে আক্রমণের সুর চড়ালেন তিনি।
উল্লেখ্য, যুদ্ধ আবহে রক্তপাত থামাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস। কিন্তু ভেটো প্রয়োগ করে সেই চেষ্টা আটকে দিয়েছিল আমেরিকা। ওয়াশিংটনের যুক্তি ছিল, এই প্রস্তাবে যুদ্ধের ময়দানে পরিস্থিতি কিছুই পালটাবে না। বাস্তব থেকে যোজন দূরে এই প্রয়াস। এটা অর্থহীন। ফলে গত দুমাস ধরে হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে চলা যুদ্ধে ছেদ পড়ার সম্ভাবনা জোরাল ধাক্কা খেয়েছে নতুন করে।