সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাজায় প্রচণ্ড বোমাবর্ষণ করল ইজরায়েলের বায়ুসেনা। মঙ্গলবার গাজায় প্যালিস্তিনীয় জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক জেহাদের ঘাঁটিতে একের পর এক বোমা ফেলে ‘ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস’-এর ফাইটার জেটগুলি। ওই হামলায় সংগঠনটির তিন শীর্ষ কমান্ডার-সহ মৃত্যু হয়েছে তেরো জনের। এর মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি শিশুও।
রয়টার্স সূত্রে খবর, হামলার কথা জানিয়েছে ইজরায়েলের সেনা। ইসলামিক জেহাদের মোকাবিলায় এই পদক্ষেপ। গাজা ও অধিকৃত ওয়েস্ট ব্যাংক থেকে ইজরায়েলি ভূখণ্ডে সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক কষছিল ইসলামিক জেহাদ। সেই খবর পেতেই আটঘাট বেঁধেছিল ইজরায়েল (Israel)। সম্প্রতি গাজার যাওয়ার দু’টি ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে তারা। গাজা সীমান্ত লাগোয়া নাগরিকদের যাতায়াত করা নিয়ে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে ইজরায়েলি সরকার।
এদিকে, এক বিবৃতি জারি করে তিন কমান্ডারের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে ইসলামিক জেহাদ। জানিয়েছে, ইজরায়েলের হামলায় তাদের কমান্ডার জিহাদ ঘান্নাম, তারেক ইজেলদিন ও খলিল আল বাহতিনি নিহত হয়েছে। তেল আভিভের দাবি, গত সপ্তাহে ইজরায়েলে রকেট হামলার মূল কারিগর ছিল বাহতিনি। এদিনের হামলার পালটা দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ইসলামিক জেহাদ।
[আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়ের আগেই শিশুজন্মে প্রথম সারিতে ভারত, রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে উদ্বেগ]
প্যালেস্তাইনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ইজরায়েলি যুদ্ধবিমানের হামলায় ১০ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি শিশুও। ইজরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আইডিএফ সেনার উপর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল জঙ্গিরা। তাই আগেভাগেই তাঁদের খতম করা হয়েছে। সবমিলিয়ে, ফের গাজায় যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের মে মাসে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে ইহুদি ও মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুগামীদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। তারপর তা ক্রমে ভয়াবহ আকার নেয়। রমজানের নমাজ পড়তে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার মুসলমান। সেখান থেকেই সংঘাতের সূত্রপাত। তারপর প্রায় ১১ দিন ধরে হামাস ও ইজরায়েলী সেনাবাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ হয়। ওই সংঘর্ষে ২৫৬ জন প্যালেস্তানীয়র মৃত্যু হয়।