সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের দেশ ছেড়ে ইজরায়েলের (Israel) পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। হামাসের (Hamas) হামলা থেকে রক্ষা করেছেন সাধারণ মানুষকে। সেই মহিলা পুলিশকে কুপিয়ে খুন করল এক প্যালেস্তিনীয় (Palestine) নাবালক। জানা গিয়েছে, প্যালেস্তিনীয় নাবালকের হামলায় গুরুতর আহত আরও দুই পুলিশকর্মী। তবে আততায়ীকে ইতিমধ্যেই নিকেশ করেছে ইজরায়েল পুলিশ। প্রসঙ্গত, একমাস ধরে চলছে ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষ। ইতিমধ্যেই এই লড়াইয়ে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মৃত পুলিশকর্মীর নাম এলিশেভা লুবিন। ২০ বছর বয়সি ওই তরুণী আদতে আমেরিকার (USA) জর্জিয়ার বাসিন্দা। গত সোমবার জেরুজালেমের ওল্ড সিটিতে সহকর্মীদের সঙ্গে টহল দিচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়েই ১৬ বছর বয়সি এক প্যালেস্তিনীয় কিশোর তাঁদের উপর আক্রমণ করে। ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকে লুবিন ও তাঁর সহকর্মীদের। গুরুতর আহত অবস্থায় লুবিনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
[আরও পড়ুন: ‘ইঁদুর’ ধরতে গাজা তোলপাড় ইজরায়েলি বাহিনীর, সুড়ঙ্গে ভরা হচ্ছে বিস্ফোরক]
ইজরায়েল পুলিশের অন্যান্য কর্মীরাও ধরতে পারেননি আততায়ী কিশোরকে। শেষ পর্যন্ত শরণার্থী শিবিরে গিয়ে ওই কিশোরের খোঁজ করা হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে বোতল বোমা ছোঁড়ে শরণার্থীরা। সেখানেই পুলিশের গুলিতে কিশোরের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে ইজরায়েলের মিডিয়া। অন্যদিকে, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে লুবিনের মৃত্যুর খবর মেলে। আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আরও দুই পুলিশকর্মী।
জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমেরিকা ছেড়ে ইজরায়েলে এসেছিলেন লুবিন। ২০২২ সালের মার্চ মাসেই ইজরায়েলের পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। পরিবারকে ছেড়ে একাই ইজরায়েলে থাকতেন তিনি। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা চলাকালীন দক্ষিণ ইজরায়েলের বহু মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন ২০ বছর বয়সি তরুণী। তাঁর মৃত্যুর খবরে শোক প্রকাশ করেছেন জর্জিয়ার গভর্নরও। মেয়ের মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছে লুবিনের পরিবার।