সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হেজবোল্লা প্রধানের মৃত্যুর বদলা নিতে ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। সম্প্রতি তার পালটা জবাব দিয়েছে ইজরায়েলও। এহেন পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে আরও কালো হয়েছে যুদ্ধের মেঘ। আর এই সময়ই রণাঙ্গনে নতুন হাতিয়ার নিয়ে হাজির ইহুদি ফৌজ। ইজরায়েলের আয়রন বিম খুব দ্রুতই শক্তিশালী লেজার ব্যবহার করা শুরু করবে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এক বছরের মধ্যেই তা কার্যকর হবে। আয়রম বিমকে বলা হচ্ছে 'নতুন যুগের অস্ত্র'। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকই এই অভিধায় ভূষিত করছেন 'অদৃশ্য' এই লেজার রশ্মিকে।
ঠিক কী এই আয়রন বিম? আসলে আইডিএফ এতদিন আয়রন ডোম ব্যবহার করে এসেছে শত্রুর আক্রমণ ঠেকাতে। এই বিখ্যাত মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম প্রতিপক্ষের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করে দিতে পারে সহজেই। ২০১১ সালে এই ডোম সিস্টেম কাজ করা শুরু করে। কিন্তু এহেন বিখ্যাত সিস্টেমের কিছু ত্রুটিও রয়েছে। সব ধরনের বিপদ প্রতিহত করা এটির পক্ষে সম্ভব নয়। যেমন রাডারের চোখকে ফাঁকি দিয়ে অল্প উচ্চতায় উড়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র রুখতে পারে না এই হাতিয়ার। এই ধরনের সমালোচনার মধ্যেই এবার নয়া হাতিয়ার হাজির করেছে তেল আভিভ।
আয়রন বিম নিয়ে ভাবনাচিন্তা অবশ্য আজকের নয়। ২০২১ সালে তৈরি হয়েছিল প্রথম নমুনা। অবশেষে মিলেছে সাফল্য। জানা যাচ্ছে, ১০০ কিলোওয়াটের লেজার বিম তথা রশ্মি ছোড়ার ক্ষমতা রয়েছে আয়রন বিমের। যার পাল্লা সাত কিলোমিটার। যার মানে, আকাশপথেই শত্রুর ছোড়ী ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, রকেট সবই ধূলিসাৎ করে দিতে পারে এই বিম। আর যেহেতু তা অদৃশ্য, তাই বিপক্ষ একে চিহ্নিত করে সতর্কও হতে পারবে না। তবে একটা সমস্যা রয়েছে। এই সিস্টেমটি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া অর্থাৎ কম দৃশ্যমান অবস্থার মধ্যে ভালোভাবে কাজ করতে পারবে না।