সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাজায় যুদ্ধের আবহে ইজরায়েলে ফের তুঙ্গে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। এবার প্রধানমন্ত্রীর পদ হারাতে পারেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। কারণ, বেশ কয়েক দফা আলোচনার পর জোট সরকার গড়তে সহমত হয়েছে দেশটির বিরোধী দলগুলি।
[আরও পড়ুন: ‘ইউহান ল্যাবের কাজের সঙ্গে যুক্ত লাল ফৌজ’, বিস্ফোরক প্রাক্তন মার্কিন বিদেশ সচিব পম্পেও]
বিগত দু’বছরে প্রায় চারবার নির্বাচন হয়েছে ইজরায়েলে। প্রতিবারই একক দল হিসেবে বেশি আসন পেলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি নেতানিয়াহুর দক্ষিণপন্থী দল ‘লিকুদ পার্টি’। এহেন সময়ে রবিবার ‘ইয়ামিনা পার্টি’র প্রধান নাফতালি বেনেট সাফ জানান যে সরকার গড়তে বিরোধী জোটকে সমর্থন দেবেন তিনি। ফলে বিরোধী দলনেতা ইয়াইর লাপিদ সরকার গড়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। বলে রাখা ভাল, এককালে নেতানিয়াহুর সমর্থক ছিলেন লাপিদ। প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসে চতুর্থবার নির্বাচনের পর একক দল হিসেবে সর্বাধিক আসন লাভ করে ‘লিকুদ পার্টি’। সেই মতো নেতানিয়াহুকে সরকার গড়ার আহ্বান জানান জানান প্রেসিডেন্ট রুবেন রিভলিন। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হন তিনি। তারপর বিরোধী জোটকে সরকার গঠনে আগামী বুধবার পর্যন্ত সময় দেন প্রেসিডেন্ট। এহেন ডামাডোলে ইয়াইর লাপিদকে সমর্থন দেওয়ার কথা ঘোষণা করে নেতানিয়াহুর সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছেন বেনেট বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে, গাজায় হামাসের সঙ্গে সংঘাতের আবহে বিরোধী দলগুলির কাছে দেশের নিরাপত্তার কথা মাথায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন নেতানিয়াহু। বেনেট ও লাপিদের সঙ্গে মিলে জোট সরকার গড়ারও আরজি জানিয়েছিলেন তিনি। তবে সেই আবেদনে সাড়া মেলেনি। লাপিদ সাফ জানিয়ে দেন যে দক্ষিণপন্থী নেতানিয়াহু সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করাই তাদের উদ্দেশ্য। উল্লেখ্য, ইজরায়েলের সংসদে (Knesset) মোট আসন সংখ্যা ১২০। ম্যাজিক ফিগার বা সরকার গড়তে প্রয়োজন হয় ৬১টি আসনের। কিন্তু ২৩ মার্চ, ২০২১-এর নির্বাচনে নেতানিয়াহুর দল পেয়েছে মাত্র ৩০টি আসন। আর বিরোধীদের মিলিত শক্তি ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলছে। এছাড়া, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে গাজায় হামাসকে কোণঠাসা করতে সক্ষম হলে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিপাকে নেতানিয়াহু।