সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগে একসঙ্গে ১০৪টি উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়ে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়েছিল ইসরো। এর মধ্যেই আরও একটি বড়সড় সাফল্য পেল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। শনিবার তামিলনাড়ুর মহেন্দ্রগিরিতে দেশের সবচেয়ে বড় ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনটির সফলভাবে পরীক্ষা করলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলে ইঞ্জিনটির পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় সাফল্য পাওয়ায় ভারতের শক্তিশালী জিএসএলভি মার্ক-৩ রকেট মহাকাশে উৎক্ষেপন করতে আর কোনও বাধা রইল না। জিএসএলভি মার্ক-৩ রকেটের উচ্চতা প্রায় ৫০ মিটার। ওজন ৪১৪ টন, যা ৭৫টি হাতির ওজনের সমান। এই রকেটের ইঞ্জিন ৪ টন ওজনের যে কোনও উপগ্রহকে পৃথিবীর কক্ষপথে প্রতিস্থাপন করার ক্ষমতা রাখে। পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (পিএসএলভি) থেকে জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল বা জিএসএলভি মার্ক-৩ অধিক ওজন বহনে সক্ষম।
মহাকাশে নির্দিষ্ট একটি উচ্চতায় পৃথিবীর আবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কৃত্রিম উপগ্রহগুলির প্রদক্ষিণকেই বলা হয় জিওসিনক্রোনাস। ২০০১ সালে প্রথম জিএসএলভি মার্ক–২ উপগ্রহ সফল ভাবে উৎক্ষেপন করেছিল ভারত। গত দু’দশক ধরে এই প্রযুক্তিকেই উন্নত করার চেষ্টা করছিল ইসরো। কারণ আমেরিকার চাপে রাশিয়া ভারতকে জিএসএলভি মার্ক-৩ প্রযুক্তি দিতে নারাজ ছিল।
মার্ক-৩ রকেটের ইঞ্জিনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় তরল হাইড্রোজেন এবং তরল অক্সিজেন। যা -২৫৩ (মাইনাস ২৫৩) ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে রাখতে হয়। ইঞ্জিন চালনার সময় ১০০ ডিগ্রির বেশি সেন্টিগ্রেড তাপে জ্বালাতে হয় এই তরল জ্বালানিগুলি। খুব জটিল এই ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন প্রযুক্তি এখনও অবধি রয়েছে রাশিয়া, আমেরিকা, চিন, জাপান এবং ভারতের কাছে। এর আগে ইসরোর বিজ্ঞানীদের মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে মাত্র ৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে উপগ্রহ পাঠিয়ে নজির গড়েছিলেন। কারণ হলিউডের মহাকাশ সংক্রান্ত সিনেমা ‘গ্র্যাভিটি’ তৈরির খরচও এর থেকে বেশি ছিল।
The post ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের পরীক্ষায় সাফল্য পেল ইসরো appeared first on Sangbad Pratidin.