সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার করোনা যুদ্ধে সামিল ইসরো। কম খরচে তৈরি করল ভেন্টিলেটর এবং অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর। দেশের মেধাবীরা কাজ করেন যে সব সংস্থায়, অতিমারির এই লড়াইয়ে তাঁরা যে পিছনে থাকবেন না, তা আরও একবার সামনে এল। ডিআরডিও-র পর এবার ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানীরাও দেশের এই কঠিন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। মহাকাশে পাঠানোর জন্য রকেট, উপগ্রহ তৈরি করেন যাঁরা, তাঁরাই কম খরচে ভেন্টিলেটর এবং অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর তৈরি করেছেন। সেগুলি কোনও সংস্থাকে দিয়ে গণহারে উৎপাদনের অপেক্ষায়।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিরুঅনন্তপুরমে অবস্থিত ইসরোর বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের ডিরেক্টর ডক্টর এস সোমনাথ জানিয়েছেন, এই প্রযুক্তির জন্য ইসরো কোনও পয়সা নেবে না। ‘প্রাণ’ নামে তাঁরা তিন রকমের ভেন্টিলেটর বানিয়েছেন। বাজারে যে ভেন্টিলেটর রয়েছে সেই প্রযুক্তির কিছু পরিবর্তন করে ইসরোর নিজস্ব কিছু চিন্তাভাবনার প্রয়োগ ঘটানো হয়েছে। নানা জায়গায় নানা রকম প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে তিন রকমের ভেন্টিলেটরগুলি তৈরি করা হয়েছে। উৎপাদন খরচও বাজার চলতি ভেন্টিলেটরের থেকে অনেক কম পড়বে।
এই যন্ত্রগুলি চালানোর জন্য কোনও ইলেকট্রিক মোটরের প্রয়োজন নেই। এই ভেন্টিলেটরগুলি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র বেঁধে দেওয়া মানদণ্ড মেনেই তৈরি হবে। ইতিমধ্যে অনেক সংস্থা এই প্রযুক্তি চেয়েছে। তবে ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, এই প্রযুক্তি এমন কোনও সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে যারা প্রচুর পরিমাণে উৎপাদনে সক্ষম।
ইসরোর তৈরি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরের নাম রাখা হয়েছে ‘শ্বাস’। এক্ষেত্রেও কম খরচে কার্যকরি যন্ত্র তৈরিই মূল লক্ষ্য ছিল ইসরোর কাছে। এবং সে ক্ষেত্রে ইসরোর ইঞ্জিনিয়াররা মহাকাশ গবেষণায় তাঁদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: কর্মহীন, কঠিন রোগে ভুগছেন, গোপন কথা ফাঁস করলেন কপিল শর্মার বাঙালি সহ-অভিনেত্রী]
দেশের সেরা বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়াররা ইসরোর হয়ে কাজ করার সময় প্রতিদিন নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। তার মধ্যে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হল কম খরচে কার্যকর যন্ত্র বানানো। ইসরোর ইঞ্জিনিয়াররা এক্ষেত্রেও সেই অভিজ্ঞতাকেই কাজে লাগিয়েছেন।