সুমন করাতি, হুগলি: মিমিক্রি বিতর্কে অনড় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়কে নকল করার প্রসঙ্গে দলীয় কর্মসূচির মঞ্চ থেকে আত্মপক্ষ সমর্থন করলেন তিনি। সাংসদের দাবি, “মিমিক্রি একটা আর্ট, কেউ যদি সেটা বুঝতে না পারেন তাহলে কিছু করার নেই।”
গত ১৯ ডিসেম্বর, সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা। সেখানেই জগদীপ ধনকড়ের অঙ্গভঙ্গি নকল করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, নিজের মোবাইল ফোনে কল্যাণের সেই অঙ্গভঙ্গি রেকর্ড করছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। উপস্থিত বাকি সাংসদরা হাসিতে ফেটে পড়েন। এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেন ধনকড়। বলেন, “লজ্জাজনক, হাস্যকর, অনভিপ্রেত যে একজন সাংসদ ব্যঙ্গ করছেন এবং আরেকজন সাংসদ তার ভিডিও করছেন।” রাহুলেরও নিন্দা করেন উপরাষ্ট্রপতি। তার পরদিনই বিতর্কে মুখ খোলেন কল্যাণ। মিমিক্রি এক ধরনের শিল্প বলে আত্মপক্ষ সমর্থন করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: প্রেম প্রস্তাবে ‘না’, দলীয় কার্যালয়ে ডেকে ছাত্রনেত্রীর ‘শ্লীলতাহানি’ TMCP নেতার]
প্রায় সপ্তাহখানেক পরেও নিজের অবস্থানে অনড় কল্যাণ। রবিবার দলীয় কর্মসূচির মঞ্চ থেকেও প্রায় একই কথা বললেন তিনি। কল্যাণ বলেন, ‘‘লোকসভায় যখন নরেন্দ্র মোদি মিমিক্রি করেছিলেন তাঁরা হেসেছিলেন, আর এখন তিনি করেছেন বলে সেটা রাজনীতির রং লাগানো হচ্ছে। মিমিক্রি একটা আর্ট, কেউ যদি সেটা বুঝতে না পারেন তাহলে কিছু করার নেই। বিষয়টিতে অহেতুক রাজনীতির রং দেওয়া হচ্ছে।’’ সংসদ ভবনের নিরাপত্তা নিয়েও বিজেপিকে কটাক্ষ করে কল্যাণ বলেন, ‘‘বিজেপি সাংসদ সই করে ভিতরে লোক ঢুকিয়ে দিল, তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেই। আর এটা যদি কোনও বিরোধী দলের কেউ করত তাহলে কী হত? মহুয়ার বিরুদ্ধে এরা ব্যবস্থা নিচ্ছে আর বিজেপি সাংসদ কিছু করলে সেটা মাফ।’’
অন্যদিকে, শ্রীরামপুরের প্রতিবাদ সভা থেকেই বিরোধী দলনেতাকে আসন্ন লোকসভা ভোটে শ্রীরামপুর থেকে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ করলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘গুজরাট বা রাজস্থানের নেতাদের পায়ে ধরে কিছু হবে না। বাংলা চালাবে বাংলার মানুষ। আর যার নিজের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই তার মুখে বড় কথা মানায় না। যদি বুকের পাটা থাকে তাহলে শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে এসে জগদীপ ধনকড়ের ছবি গলায় ঝুলিয়ে আগামী চারমাস শ্রীরামপুরে ঘুরুক, তারপর ক্ষমতা থাকলে ভোটে দাঁড়াক, মানুষ ভোটে উত্তর দিয়ে দেবে। ওকে শ্রীরামপুরে হারাবই। আসলে শুভেন্দু বাংলার বাইরের নেতাদের পায়ে ধরে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে যেটা বাংলায় চলবে না।’’