সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাল ফৌজের আগ্রাসন রুখতে এবার নয়া কৌশল নিতে চলেছে ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ (ITBP)। ঢেলে সাজানো হবে আইটিবিপির পরিকাঠামো। জওয়ানরা শিখবেন চিনা ভাষা। থাকবেন এমন ঘাঁটিতে যেখানে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সারা বছর একই তাপমাত্রা থাকবে। যাতে প্রতিবেশী দেশের উপর কড়া নজর রাখা যেতে পারে। মঙ্গলবার আইটিবিপির এক অনুষ্ঠানে এসে এ কথা জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।
[সন্ত্রাসে অর্থ জোগান, এনআইএ-র জালে হিজবুল প্রধান সালাউদ্দিনের ছেলে]
এদিন দেশের সুরক্ষার কথা বলতে গিয়ে আইটিবিপির জওয়ান ও অফিসারদের রাজনাথ আশ্বাস দেন সেনার পরিকাঠামো নতুন করে সাজানো হবে। ভারত-চিন সীমান্তে নতুন ৫০টি আইটিবিপি পোস্ট তৈরি করা হবে। বেশি উঁচু স্থানে অবস্থিত পোস্টগুলিতে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে যাতে সারা বছর সেখানকার তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। আর শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষাতেও জওয়ানরা চিনা ফৌজের দিকে নজর রাখতে পারেন। আর তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে চলে গেলেও আবহাওয়ার কারণে তাঁদের ফিরে আসতে না হয়। ইতিমধ্যেই লাদাখ ও সিকিমে এমন মডেলের পোস্ট ব্যবহার করছেন ভারতীয় জওয়ানরা। তা এবার আইটিবিপি-র পোস্টগুলির ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হবে। ৩৫ বছরের পুরনো যে পোস্টগুলি গুলি রয়েছে তাও কম্পোজিট ইউনিট হিসেবে আপগ্রেড করা হবে।
[জরুরি অবতরণের মহড়া, বায়ুসেনার সুখোই-মিরাজ দেখতে ভিড় বাসিন্দাদের]
এছাড়াও অরুণাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশে সীমান্ত বরাবর ২৫টি নতুন রাস্তা তৈরি করা হবে। ৯০০০ ফুট উচ্চতায় যে জওয়ানদের থাকতে হবে তাঁদের জন্য হালকা শীতবস্ত্রের ব্যবস্থা করা হবে। ৩,৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ইন্দো-চিন সীমান্তে যাতে আইটিবিপি-র জওয়ানরা নিয়মিত পেট্রল করতে পারেন, এর জন্য বিশেষ স্নো স্কুটারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানান রাজনাথ। এর পাশাপাশি নিহত জওয়ানদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্যও অফিসারদের কাছে আরজি জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যে সমস্ত জওয়ানরা অপারেশন চলাকালীন আহত হয়েছেন তাঁদেরও খেয়াল রাখা হবে বলে জানান তিনি। ৫০ শতাংশ অঙ্গহানি যাঁদের হয়েছে, তাঁদের ‘ভারত কে বীর’ ফান্ডের মাধ্যমে দেখাশোনা করা হবে বলে জানান তিনি। প্রতিবেশীদেশগুলির আগ্রাসন রুখে এভাবেই সেনাকে আরও শক্তিশালী করার ইঙ্গিত দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর পাশাপাশি সেনাকে সীমান্তের মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। ঢেলে সাজানো হবে আইটিবিপির পরিকাঠামো। যাতে সময় আসলে তাঁদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যায়।
[শিল্পপতিরা রাজ্য চালাচ্ছে, গুজরাটে দাঁড়িয়ে মোদিকে কটাক্ষ রাহুলের]