shono
Advertisement

মধ্যপ্রদেশে উলটপুরাণ, কংগ্রেসে ঝুঁকছেন বিজেপির দুই বিধায়ক!

আগে কংগ্রেসে ছিলেন ওই দুই বিধায়ক।
Posted: 02:20 PM Jul 25, 2019Updated: 02:29 PM Jul 25, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকে জোট সরকারের পতনে বিজেপি যখন উচ্ছ্বাস করছে তখন উলটো ছবি দেখা গেল মধ্যপ্রদেশে। সেখানে কংগ্রেস সরকারের আনা ফৌজদারি আইন সংক্রান্ত (মধ্যপ্রদেশ সংশোধনী) বিলের স্বপক্ষে ভোট দিলেন দুই বিজেপি বিধায়ক। আর ভোট দিয়ে বললেন, “এটা ঘর ওয়াপসি।” বুধবার মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় এই ঘটনা ঘটার পরে বিতর্ক শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরমহলে। প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা থেকে বিজেপি বিধায়ক বনে যাওয়া ওই দুই ব্যক্তির নাম নারায়ণ ত্রিপাঠী ও শরদ কোল। নারায়ণ মাইহার ও শরদ বিওহারি বিধানসভা এলাকার বিধায়ক।

Advertisement

[আরও পড়ুন- থানার মধ্যেই গোলাপি পোশাকে নাচ, ভিডিও ভাইরাল হতেই সাসপেন্ড মহিলা পুলিশ কর্মী]

পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি ওই দুই বিধায়ক বলেন, “আমরা আমাদের বিধানসভা এলাকায় উন্নয়ন চাই। তাই সাত মাসের কমল নাথ সরকারকে আমরা সমর্থন করছি। তাছাড়া এটা আমাদের ঘর ওয়াপসি।” মধ্যপ্রদেশ বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধায়ক হওয়ার পরেই সাতনার বিজেপি সাংসদ গণেশ সিং-এর সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল নারায়ণ ত্রিপাঠীর। সাতনা থেকে মাইহার তহশিলকে আলাদা করে অন্য জেলা তৈরির দাবিও করেন তিনি।

কংগ্রেস আগে থেকেই দাবি করছিল, কর্ণাটকের পর বিজেপির টার্গেট হতে চলেছে মধ্যপ্রদেশের সরকার। বুধবার মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তার কিছুটা নমুনাও দেখান বিরোধী দলনেতা গোপাল ভার্গব। মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “দলের এক ও দু’নম্বরের কাছ থেকে নির্দেশ পেলে আপনার সরকার ২৪ ঘণ্টাও ঠিকবে না।” এর উত্তরে কমল নাথ বলেন, “আপনাদের এক এবং দু’নম্বর যথেষ্ট কাণ্ডজ্ঞান সম্পন্ন। তাই এমন কোনও নির্দেশ দিচ্ছেন না। তবে আপনারা চাইলে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারেন।”

[আরও পড়ুন-মেয়ের বিয়ের জন্য প্যারোলে মুক্ত রাজীব হত্যায় দোষীসাব্যস্ত নলিনী]

কমল নাথ ও গোপাল ভার্গবের এই কথাবার্তার মাঝেই কংগ্রেস সরকারের আনা বিলে সমর্থন জানালেন দুই বিধায়ক। পরে এপ্রসঙ্গে মধ্যপ্রদেশের জনসম্পর্ক মন্ত্রী পিসি শর্মা বলেন, “ওই দুই বিধায়ক আমাদের সমর্থন করেছেন। আসলে ওনারা কংগ্রেসের সঙ্গেই আছেন। তাই দলের সদস্য হন বা না হন সেটা বিষয় নয়।”

ওই দুই বিধায়কের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম মুখ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও। বিষয়টিকে ‘ঘর ওয়াপসি‘ বলে অ্যাখ্যা দিয়ে টুইট করেন, “ওই দু’জন বিজেপি নেতাদের আয়না দেখিয়েছেন। কিছুদিন ধরেই রাজ্যের সরকারকে সংখ্যালঘু বলে দাবি করছিলেন তাঁরা। তার যোগ্য জবাব পেয়েছে।” এই দুই বিধায়ক কংগ্রেসের দিকে ঝোকার ফলে অনেকটাই স্বস্তি পেল কংগ্রেস সরকার। এই মুহূর্তে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় কংগ্রেস বিধায়ক সংখ্যা ১১৪। মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১১৬। নির্দল এবং সপা-বসপার সমর্থনে ১২২ বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়েছে কংগ্রেস। এই দু’জন দলে যোগ দিলে এককভাবেই সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যাবে কংগ্রেস।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement