সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ব ফুটবল উত্তাল দুই মহানায়ককে নিয়ে। কে সেরা, এই প্রশ্ন নিরন্তর করা হয় তাঁদের। বিশ্বকাপের ঠিক আগে এক সাক্ষাৎকারে একই প্রশ্ন রোনাল্ডোকে (Cristiano Ronaldo) করেছিলেন পিয়ার্স মর্গ্যান। উত্তরে রোনাল্ডো আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসিকে (Lionel Messi) জাদুকর বলে উল্লেখ করেন। এলএম ১০-এর দারুণ প্রশংসা করেন পর্তুগিজ মহাতারকা। রোনাল্ডো জানান, তাঁদের মধ্যে দারুণ শ্রদ্ধার সম্পর্ক বিদ্যমান। একে অপরকে শ্রদ্ধা করেন খুব।
এল ক্লাসিকো-তে দুই মহাতারকা বহুবার মুখোমুখি হয়েছেন। দু’ জনের সাক্ষাতের জন্য এল ক্লাসিকোর সেনসেক্স বেড়ে গিয়েছিল বহুগুণে। লা লিগা জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছিল। মেসি বার্সেলোনা ছেড়ে চলে গিয়েছেন প্যারিস সাঁ জাঁয়। রোনাল্ডো রিয়াল ছেড়ে জুভেন্টাস হয়ে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের জার্সি চাপিয়েছেন। সেই ম্যান ইউ-র সঙ্গেও সম্পর্ক খারাপের দিকে রোনাল্ডোর।
[আরও পড়ুন: কাপ জিতলে থেকে যেতে পারেন তিতে, চোট এড়াতে প্রস্তুতি ম্যাচে ‘না’ ব্রাজিল কোচের]
মর্গ্যানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সিআর সেভেন। কিন্তু মেসির প্রসঙ্গ উঠতেই রোনাল্ডো বলেন, ”মেসি অবিশ্বাস্য প্লেয়ার। জাদুকর। টপ প্লেয়ার। আমরা দু’ জনে ১৬ বছর ধরে এই মঞ্চ শেয়ার করছি। ভাবুন একবার ১৬ বছর। মেসির সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই ভাল। আমি ওর বন্ধু হয়তো না। বন্ধু বলতে যা বোঝায় সেটা হয়তো আমি নই। এক বন্ধু আরেক বন্ধুর ঘরে যায়, ফোনে কথা বলে আমি সেসব করি না। কিন্তু আমি ওর সতীর্থের মতোই।”
ব্যালন ডি’ অরের মঞ্চে বসেও মেসির প্রশংসা করেছিলেন রোনাল্ডো। খেলার মাঠে দু’ জনের যতোই প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকুক না কেন, মাঠের বাইরে দু’ জনেই একে অপরের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। রোনাল্ডো আরও বলছেন, ”মেসি আমার সম্পর্কে যে ভাবে কথা বলে তাতে আমি ওকে সত্যিই খুব শ্রদ্ধা করি। আমার স্ত্রী সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল ওর স্ত্রী, এমনকী আমার বান্ধবীও ওদের সম্মান করে। আমার বান্ধবী আর্জেন্টিনার। মেসি সম্পর্কে আমি আর কী বলব? দারুণ একজন মানুষ। ফুটবলকে অনেক কিছু দিয়েছে।” একই সাক্ষাৎকারে রোনাল্ডোকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ধরা যাক ফাইনালে আর্জেন্টিনা ও পর্তুগাল মুখোমুখি হল। সেই ফাইনালে রোনাল্ডো দুটি এবং মেসি দুটি গোল করলেন। ৯৪ মিনিটে রোনাল্ডো হ্যাটট্রিক করে বিশ্বকাপ জিতে নেন। এরকম আইডিয়া কেমন লাগল রোনাল্ডোর? উত্তরে সিআর সেভেন বলেন, এরকম স্বপ্ন প্রত্যাশাই করেননি রোনাল্ডো। যদি তাই হয়, তাহলে ফাইনালের পরই অবসর নিয়ে ফেলবেন।