নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, তাতে সংক্রমণ এড়াতে এবার বাড়িতেও মাস্ক (Mask) পরতে হবে। সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এমনটাই জানানো হল। সেই সঙ্গে এখন বাড়িতে বাইরের কাউকে না ডাকা এবং অযথা বাইরে না বেরনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে করোনা (Corona Virus) নিয়ে অযথা আতঙ্কিত না হতেও বলা হয়েছে। কারণ মিথ্যা আতঙ্কিত হলে ক্ষতিই হয়। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয় দেশে পর্যাপ্ত অক্সিজেন রয়েছে। কিন্তু সেগুলি পরিবহণের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে।
দেশজুড়েই অক্সিজেনের হাহাকার চলছে। অক্সিজেনের অভাবে মারা যাচ্ছেন অনেকে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিল পর্যাপ্ত অক্সিজেন রয়েছে।কিন্তু অক্সিজেন প্লান্ট থেকে সেগুলিকে হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়াটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।অক্সিজেন পরিবহণের জন্য ট্যাঙ্কার কেনা বা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেগুলিকে সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় লেগে যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কমিশনকে ভর্ৎসনা, গণনা বন্ধের হুঁশিয়ারি মাদ্রাজ হাই কোর্টের]
সম্প্রতি ভারতীয় রেল এবং ভারতীয় বায়ু সেনা অক্সিজেন ট্যাঙ্কার স্থানান্তরের ক্ষেত্রে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। বিমান বাহিনীর বড় বড় মালবাহী প্লেনে করে খালি ট্যাঙ্কার অক্সিজেন প্লান্টে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আবার অক্সিজেন-সহ ওই গোটা ট্যাঙ্কার নির্দিষ্ট স্টেশনে নিয়ে যাচ্ছে রেল। সেখান থেকে তা সড়ক পথে হাসপাতালে পৌঁছে যাচ্ছে।সরকার চেষ্টা করছে যাতে রিয়েল টাইমে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া যায় অক্সিজেন ট্যাঙ্কার। আর তার জন্য ট্যাঙ্কারগুলিতে জিপিএস লাগানো হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে শববাহী যান না মেলায় বাবার দেহ গাড়ির ছাদে বেঁধে শ্মশানে ছেলে]
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লা এক নোটিস জারি করে জানিয়েছেন, রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার চাইলে সংক্রমিত এলাকায় নিজেদের মতো করে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে। সেই সঙ্গে সামাজিক অনুষ্ঠানে জমায়েতও যাতে বেশি না হয়, সে দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।