সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যার বদলা নিল সেনাবাহিনী। জম্মু ও কাশ্মীরে সংঘর্ষে নিকেশ রাহুল ভাটের হত্যাকারী-সহ লস্কর-ই-তইবার তিন সন্ত্রাসবাদী। উপত্যকায় জঙ্গি দমনে এটাকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে বিশ্লেষকরা।
কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার সকালে বদগাঁও এলাকায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দেয় কাশ্মীর পুলিশ। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলে তাদের। সেখান থেকেই তিন লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিকে ঘিরে ফেলে তারা। কাশ্মীরি পণ্ডিত রাহুল ভাট এবং আমরিন ভাটের হত্যার ঘটনায় জড়িত কুখ্যাত লস্কর জঙ্গি লতিফ রাঠেরও ছিল সেই দলে। বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াই চলার পর ক্ষয়ম হয় তিন জঙ্গি।
গত ১২ মে উপত্যকার বদগাওয়ের চাদুরা নামের একটি গ্রামের তহসিলদার অফিসে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ঘটনার কথা টুইট করে জানিয়েছিল কাশ্মীর পুলিশ (Kashmir Zone Police)। ওই টুইটে বলা হয়, “বদগাওয়ের চাদুরা গ্রামের তহসিলদার অফিসে এক সংখ্যালঘু ব্যক্তির উপর হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। তাঁকে লক্ষ্য গুলি করা হয়। আহত ব্যক্তিকে হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।” যদিও শ্রীনগরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় রাহুল ভাটের।
[আরও পড়ুন: ‘আমাদের বলির পাঁঠা করছেন মোদি-শাহরা’, বিস্ফোরক জঙ্গি হামলায় নিহত কাশ্মীরি পণ্ডিতের স্ত্রী]
গত ৯ মাসে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর একের পর এক হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে এই ধরনের হামলা বাড়তে শুরু করেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিক ও কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে।
এদিকে, এদিন সকালেই পুলওয়ামা জেলায় ৩০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় স্বাধীনতার দিবসের প্রাক্কালে অল্পের জন্য এড়ানো গিয়েছে ২০১৯ সালের ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পুনরাবৃত্তি। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এমনই একই আইইডি বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল সিআরপিএফের ৪০ জন জওয়ানের। পাকিস্তানের (Pakistan) সন্ত্রাসবাদী দল জইশ-ই-মহম্মদ সেবার নাশকতা চালিয়েছিল। হামলাকারীরা ছিল পুলওয়ামা জেলার স্থানীয় বাসিন্দা আদিল আহমদ দার। সে জইশের সদস্য ছিল। সেই ক্ষত এখনও টাটকা। উদ্ধার হওয়া এই আইইডিগুলি বিস্ফোরণ ঘটলে পুলওয়ামার মতো দ্বিতীয় ঘটনা ঘটত বলে জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ।