সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠগ সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে নাম জড়ানোয় বার বার বিপাকে পড়ছেন বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। সেই কারণে সম্প্রতি অভিনেত্রীকে তলব করেছে ইডি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে জ্যাকলিনের ফিক্সড ডিপোজিট। এমনকী, ইডির তরফ থেকে জানানো হয়েছে জ্যাকলিন এখন বিদেশে যেতে পারবেন না। অন্যদিকে, জ্যাকলিনের আইনজীবী প্রশান্ত প্যাটেল দাবি করেছেন, জ্যাকলিন ষড়যন্ত্রের শিকার, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
তবে এবার ইডি জেরায় মুখ খুললেন জ্যাকলিন (Jacqueline Fernandez)। অভিনেত্রীর কথায়, ”বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি পুরোটাই আমার, সুকেশের নয়।” জ্যাকলিন আরও জানান, ”এই সম্পত্তির সময় সুকেশের সঙ্গে আলাপও ছিল না তাঁর।”
সুকেশের সঙ্গে নাম জড়িয়ে গত বছরই অফ শিরোনামে উঠে এসেছিল জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের (Sukesh Chandrasekhar) সঙ্গে জ্যাকলিনের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসে। ২০০ কোটি টাকার প্রতারণা এবং আরও ২০টি আর্থিক তছরুপের মামলায় নাম জড়ানোয় দিল্লির রোহিণী জেলে বন্দি ‘ঠগবাজ’ চন্দ্রশেখর। জ্যাকলিনের সঙ্গে এই সুকেশের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের একটি ছবিও ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সূত্রানুসারে, সেই সময় অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্ত ছিল চন্দ্রশেখর। ইডি সূত্রে এও জানা গিয়েছিল, চেন্নাইয়ে চারবার সাক্ষাৎ হয় জ্যাকলিন ও চন্দ্রশেখরের। অভিযোগ, সুকেশের হাতে যে আইফোন ১২ রয়েছে, তা দিয়েই তিনি ইজরায়েলের সিমকার্ডের সাহায্যে প্রতারণা করছিলেন।
[আরও পড়ুন: রিকশায় বসে দেব, টানলেন মিঠুন! বারাণসীর রাস্তায় মহাগুরুর কাণ্ড ভাইরাল]
এরপর থেকেই ইডির নিশানায় জ্যাকলিন। গত বছর ডিসেম্বরে মুম্বই বিমানবন্দরে আটকানো হয় জ্যাকলিনকে। অভিনেত্রীকে ৮ ডিসেম্বর ইডি দপ্তরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পাঁচ ঘণ্টা ধরে ইডি আধিকারিকরা জেরা করেন শ্রীলঙ্কান সুন্দরীকে। আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ মামলার (PMLA) আওতায় জ্যাকলিনের অবৈধ সম্পত্তিও নাকি বাজেয়াপ্ত ইডি।
শোনা যায়, এর আগে সুকেশের কাছ থেকে গুচ্চির ব্যাগ, জিমের পোশাক, দামি ব্র্যান্ডের জুতো, দু’টি হীরের আংটি, একাধিক ব্রেসলেট পেয়েছিলেন ইডি অফিসাররা। সূত্রের খবর মানলে, ইডি অফিসাররা মনে করছেন ঠগবাজ সুকেশের কাণ্ড কারখানা সম্পর্কে জানতেন জ্যাকলিন। তাঁর এই কাজের লাভও পেতেন। অনেকে মনে করছেন, এই জন্যই নায়িকার বিরুদ্ধে ২১৫ কোটি টাকার তোলাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে।