অর্ণব আইচ: বাছাই করে দল বেঁধে ছাত্রটিকে মেরে ফেলা হয়েছে। শুক্রবার যাদবপুর কাণ্ডে আদালতে মন্তব্য সরকারি আইনজীবীর। ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতের শেষে এদিন যাদবপুরের হস্টেলে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ‘খুনে’র ঘটনায় অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরীকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তর আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। জামিনের বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে অভিযুক্ত যাদবপুরের প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
এদিন আলিপুর আদালতে সৌরভ চৌধুরীর আইনজীবী জানান, আর নতুন করে তাঁর কাছ থেকে পুলিশের কিছু পাওয়ার নেই। তাঁকে আটকে রাখারও প্রয়োজন নেই। বাছাই করে ইচ্ছাকৃতভাবে পুলিশ ছাত্রদের গ্রেপ্তার করেছে। উল্লেখ্য, সম্পূর্ণ বিবস্ত্র অবস্থায় যাদবপুর মেইন হস্টেল চত্বর থেকে নাবালক ছাত্রটিকে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। শরীরের নিচের অংশে একটি গামছা জড়িয়ে ও রক্তাক্ত মাথা গামছা দিয়ে বেঁধে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল সিনিয়র ছাত্ররা। সরকারি আইনজীবী অভিযুক্তকে জেল হেফাজতে রাখার আবেদন জানিয়ে বলেন, যে গামছা জড়িয়ে ওই ছাত্রটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই গামছাটি পুলিশ উদ্ধার করেছে।
[আরও পড়ুন: যান্ত্রিক ত্রুটিতে বাতিল ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’, বিকল্প ট্রেনে মালদহ গেলেন রাজ্যপাল]
ওই গামছা থেকে উদ্ধার হয়েছে রক্তের দাগ। তদন্তে জানা যায় যে, প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরি একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অন্য ছাত্রদের নির্দেশ পাঠিয়ে মেসেজে লিখতে বলেছিল যে, সৌরভ মাঝেমধ্যে হস্টেলে এসে থাকে। এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে অন্য ধৃত অভিযুক্তদের সঙ্গে তাকে জেরা করা হয়। তাতেই দু’টি মোবাইলের হদিশ মেলে। এদিন সেই মোবাইল দু’টি উদ্ধার করে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে নেমেই রেকর্ড, সোনা জয়ের আরও কাছে নীরজ]
সৌরভের আইনজীবী দাবি করেন, এই তদন্তের কোনও অগ্রগতি হয়নি। গ্রেপ্তারির পরই সৌরভের ফোন আটক করা হয়েছিল। বাছাই করে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তখন সরকারি আইনজীবী বলেন, বাছাই করেই দল বেঁধে ছেলেটিকে মেরে ফেলা হয়েছে। এই তথ্য কেস ডায়েরিতেও রয়েছে। অভিযুক্তর আইনজীবী আদালতে আবেদন জানান, জেলে দাগী বন্দিদের সঙ্গে যাতে যাদবপুরের প্রাক্তনীকে না রাখা হয়। সরকারি আইনজীবী বলেন, জেল কোড অনুযায়ী এই সংক্রান্ত যা নিয়ম রয়েছে, তা অনুসরণ করা উচিৎ। অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরীকে জেলে জেরা করার জন্য সরকারি আইনজীবী আদালতে আবেদন জানান। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। তারই ভিত্তিতে অভিযুক্তকে জেলে গিয়ে জেরা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।