রমেন দাস: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ছাত্রমৃত্যুর জের। আবাসিক পড়ুয়াদের জন্য বড় সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের। সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এবার থেকে পড়াশোনা শেষের পর আর হস্টেলে বেশিদিন থাকা যাবে না। পড়াশোনা শেষ হয়ে যাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে হস্টেল ছাড়তে হবে পড়ুয়াকে। গবেষণার সঙ্গে যুক্তদের ১ মাসের মধ্যে ছাড়তে হবে হস্টেল। তার বেশি কেউ আর হস্টেলে থাকতে পারবেন না।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাংসদ খুনে ঘনাচ্ছে রহস্য, অভিযুক্তের খোঁজে নেপালে নজর সিআইডির]
গত বছরের ৯ আগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলে (Jadavpur University Main Hostel) অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় বাংলা বিভাগের নবাগত ছাত্রের। ব়্যাগিংয়ের অভিযোগে তোলপাড় হয় দেশ। ছাত্রের মৃত্যুতে উঠে আসে খুনের অভিযোগও। যৌন হয়রানি থেকে শুরু করে সিনিয়রদের অত্যাচার, একের পর এক অভিযোগে বিদ্ধ হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে জলঘোলাও হয় বিস্তর। সেই সময়ই সামনে আসে পড়াশোনা শেষের পরেও সিনিয়র পড়ুয়াদের হস্টেল দখল করে থেকে যাওয়ার অভিযোগ। ইতিমধ্যে যদিও ৩৮ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সত্যব্রত রায়, মহম্মদ আরিফ, মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্ত নামে চার পড়ুয়াকে পাকাপাকিভাবে বরখাস্ত করা হয়। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এই চারজনকে আগেই গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। আরও ৫ ছাত্রকে ৪টি সেমেস্টার তথা দুই বছরের জন্য সাসপেন্ড ও হস্টেল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। ২৫ জনকে ১ সেমেস্টার তথা ছয়মাসের জন্য সাসপেন্ড ও হস্টেল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। পুরনো ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগে এবার আবাসিক পড়ুয়াদের জন্য কঠোর সিদ্ধান্ত নিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।