দীপঙ্কর মণ্ডল: ছাত্রীকে বাড়িতে ডেকে কুপ্রস্তাব, ধর্ষণের চেষ্টা। অধ্যাপকের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাত্রীর বিস্ফোরক অভিযোগের পর কড়া পদক্ষেপ নিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত অধ্যাপকের ক্যাম্পাসে ঢোকা আপাতত নিষিদ্ধ হল। সোমবার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (IR) বিভাগের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেন বিভাগীয় প্রধান ইমনকল্যাণ লাহিড়ী। ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারবেন না অভিযুক্ত।
ঘটনার সূত্রপাত কয়েকদিন আগে। জানা গিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞের অধ্যাপকের অধীনে গবেষণা করছিলেন অভিযোগকারী ছাত্রী। থিসিস জমা দেওয়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তা সমাধানের নাম করে ছাত্রীকে নিজের ঘরে ডেকেছিল অভিযুক্ত। অভিযোগ, সেখানে যেতেই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন ওই অধ্যাপক। কোনওরকমে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন নিগৃহীতা। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় অধ্যাপকের আচরণের বিস্তারিত বিবরণ লেখেন ওই ছাত্রী। লেখেন, “ওনার ঘরে যেতেই আমাকে তাঁর সামনে সোজাসুজি দাঁড়াতে বলেন। ক্রমাগত আমার দিকে আপত্তিকরভাবে তাকাচ্ছিলেন। এরপর আমার উরু, গাল, পিঠ স্পর্শ করতে থাকেন। আমাকে চুম্বন করে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করেন। এরপর আমাকে বিছানায় ঠেলে ফেলে বলেন, ‘ব্যাস, একবার’। আমি উঠে বেরনোর চেষ্টা করি। উনি বাধা দেন।”
[আরও পড়ুন: যাদবপুরে তরুণীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় আটক পুরুষসঙ্গী, পুলিশের জালে দিদি-জামাইবাবুও]
যদিও ফেসবুকে পোস্ট করার আগে ছাত্রী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যাদবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের কাজেও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। বিভাগীয় প্রধানের কাছেও পৌঁছয় অভিযোগ। আর তার ভিত্তিতেই তিনি অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিলেন। বিভাগীয় তদন্ত চলবে। তাতে অধ্যাপক দোষী প্রমাণিত হলে আরও কঠোর শাস্তির পথে হাঁটতে পারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।