অর্ণব আইচ: ছাত্র মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। সেই সূত্র ধরে ৪ পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে যাদবপুর থানার পুলিশ। আর সেই জিজ্ঞাসাবাদেই উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন স্বপ্নদীপ। বারান্দায় নাকি প্রস্রাবও করে দেন। তাঁকে সামলাতে গেলে বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেন স্বপ্নদীপ। যদিও যাদবপুরের ছাত্রমহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে অন্য কথা। বাংলা বিভাগের স্নাতকস্তরের প্রথমবর্ষের ছাত্রকে নাকি সমকামী বলে উত্যক্ত করা হচ্ছিল।
কীভাবে মৃত্যু হল স্বপ্নদীপ কুণ্ডু? জানতে যাদবপুর থানায় ডেকে তৃতীয় বর্ষের চার পড়ুয়াকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। রয়েছেন ডিসি এসএসডি বিদিশা কলিতাও। সেখান থেকেই একাধিক তথ্য উঠে আসছে বলে সূত্রের খবর। দাবি, আচমকাই অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন স্বপ্নদীপ। বারান্দায় প্রস্রাব করে দেন তিনি। সিনিয়ররা তাঁকে সামলাতে এলে তিনি নাকি তিনতলার বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেন। কিন্তু এই মৃত্যু ঘিরে প্রশ্ন হাজার। কেন বিবস্ত্র ছিলেন স্বপ্নদীপ? কেন তাঁর মাথার পিছনে বড় আঘাতের চিহ্ন ছিল? টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই প্রশ্ন জবাব খুঁজছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ, রাতের কলকাতায় বোনের সামনেই দাদাকে ফেলে মার]
পুলিশ এখনই র্যাগিংয়ের তত্ত্বে সিলমোহর দিতে রাজি নয়। তাঁদের দাবি, ফরেনসিক পরীক্ষা হোক তারপর সঠিক কারণ বোঝা যাবে। স্পষ্ট হবে, তিনতলার বারান্দা থেকে লাফ দিলে কতটা আঘাত লাগতে পারে? সেখান থেকে যদি কেউ ধাক্কা দেয় তাহলে কতটা জখম হতে পারে? বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে যাদবপুর ছাত্রমহলে কান পাতলে অন্য় এক তথ্য শোনা যাচ্ছে। স্বপ্নদীপকে সমকামী বলে উত্যক্ত করা হচ্ছিল। তবে কি সেই চাপই নিতে পারলেন না স্বপ্নদীপ? কারাই বা উত্যক্ত করছিলেন? সেই সব প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় স্বপ্নদীপের পরিবার। এদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যান আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তদন্তের দাবি জানিয়ে পড়ুয়ারা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখান। মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেন রাজ্যপাল।