shono
Advertisement

বই দেখে নয়, খাতা-কলমেই হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা, ক্ষুব্ধ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ারা

ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের একাংশ বাড়িতে বসে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়।
Posted: 08:30 PM Apr 08, 2022Updated: 08:30 PM Apr 08, 2022

দীপঙ্কর মণ্ডল: ‘ওপেনবুক সিস্টেম’ বা বই দেখে নয়, আগের মত খাতা-কলমে হবে যাদবপুরের সব পরীক্ষা। গত বুধবার হঠাৎ ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির ১৫ টি বিভাগকে নিয়ে বৈঠক হয়। প্রস্তাব আসে বই দেখে পরীক্ষা নেওয়া হোক। শুক্রবার পর্যন্ত ছিল মত জানানোর সময়। এদিন সমস্ত বিভাগ জানিয়ে দিয়েছে, আগের নিয়মেই পরীক্ষা নেওয়া হবে।

Advertisement

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের দাবি ছিল অফলাইনে নয় অনলাইনে হোক পরীক্ষা। তাদের ক্ষোভ সামলাতে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন প্রস্তাব দেন অফলাইনে ‘ওপেন বুক সিস্টেম’-এ পরীক্ষা দিক পড়ুয়ারা। পাশাপাশি প্রতি পেপারে তিন ঘণ্টার পরিবর্তে বরাদ্দ হোক ৪ ঘণ্টা। একশোর পরিবর্তে ৭০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়ারও প্রস্তাব দেওয়া হয়। ৮ এপ্রিলের মধ্যে বিভাগগুলির কাছে মতামত চায় কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, আগেই ‘এক্সাম বোর্ড’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে অফলাইনে পরীক্ষা হবে। তারপর কী করে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক্সাম কমিটি বৈঠক ডাকে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বৃহস্পতিবার উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বিভাগীয় প্রধানদের চিঠি দিয়ে জানান ওই বৈঠক অবৈধ। পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হলে কলা, বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং, তিনটি ফ্যাকাল্টিকেই ডাকতে হত।

[আরও পড়ুন: বগটুই কাণ্ডে খারিজ আনারুলের জামিন, পলিগ্রাফ টেস্টে আপত্তি অভিযুক্তদের]

বুধবারের বৈঠক ছিল শুধুমাত্র ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের। নিয়ম অনুযায়ী কোনও একটি ফ্যাকাল্টি পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। শিক্ষক সংগঠন অ্যাবুটার তরফে গৌতম মাইতি বলেন, “একবার গৃহীত সিদ্ধান্তের পর পরীক্ষা নিয়ে নতুন কিছু চাপানোর চেষ্টা উদ্বেগের। ওপেনবুক পদ্ধতির প্রস্তাব ছিল সম্পূর্ণ অনৈতিক এবং বেআইনি।” করোনা কালে সমস্ত পরীক্ষা হয়েছে অনলাইনে। বাড়িতে বসে বই খুলে পরীক্ষা দিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। এখন আগের মতো সবকিছু স্বাভাবিক। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি ক্লাস চালু হয়ে গিয়েছে। পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে অফলাইনে। এমত অবস্থায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের একটি ছোট অংশ বাড়িতে বসে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়। পড়ুয়াদের ক্ষোভ সামলাতে বই দেখে পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব দেন ডিন। তবে তা মান্যতা পায়নি বিভাগগুলির কাছে।

এরই মধ্যে অবশ্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুকুটে জুড়ল নয়া পালক। উৎকর্ষের নিরিখে এই বিশ্বিদ্যালয়ের কলা বিভাগ দেশের মধ্যে পাঁচ নম্বর স্থান পেল। বৃহস্পতিবার ‘কিউ এস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি ব়্যাঙ্কিং ২০২২’ প্রকাশিত হয়। বিশ্বের ৫০০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও আইআইটি দিল্লির ব়্যাঙ্কিং ৪০১ ও ৪৫০ তম। কলা বিভাগের বিষয়গতভাবে দেশের মধ্যে প্রথম দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় বম্বে আইআইটি, চতুর্থ দিল্লি আইআইটি এবং পঞ্চম স্থানে যাদবপুর।

[আরও পড়ুন: এখনও মেডিক্যাল টিমের পর্যবেক্ষণে অনুব্রত, শ্বাসকষ্ট দূর করতে নাকে বসল বিশেষ মেশিন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement