স্টাফ রিপোর্টার: শুরু হয়ে গেল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা ও বিজ্ঞান শাখায় স্নাতক স্তরে পড়ুয়া ভর্তির প্রক্রিয়া। রাজ্যের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ন্যাশনাল কারিকুলাম অ্যান্ড ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্কের ভিত্তিতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই চার বছরের স্নাতক অনার্স পাঠ্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর। সেই সিদ্ধান্ত মেনে যাদবপুরেও কলা ও বিজ্ঞান শাখার সব স্নাতক কোর্স চার বছরের হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার থেকে চালু হয়ে গিয়েছে আবেদন গ্রহণের অনলাইন পোর্টাল। আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৩ জুন। যাদবপুরে প্রতি বছরের মতোই বেশ কয়েকটি বিভাগে পড়ুয়া ভর্তির জন্য নেওয়া হবে প্রবেশিকা পরীক্ষা। এছর কলা শাখার ৯টি বিষয়েই এবং বিজ্ঞান শাখার চারটি বিষয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার সম্ভাব্য সূচিও প্রকাশ করা হয়েছে। উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশ মোতাবেক আবেদনকারী পড়ুয়াদের থেকে কোনও আবেদন ফি নেওয়া হবে না। তবে, যাদবপুরে প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য ফি জমা করতে হবে আবেদনকারীদের।
[আরও পড়ুন: ‘পঞ্চাশ বা একশো করে বুক বাজায় না’, রাহানের প্রশংসা করতে গিয়ে কি কোহলিকে কটাক্ষ করলেন সানি?]
এসসি, এসটি ও পিডি ক্যাটাগরির প্রার্থীদের জন্য ১০০ টাকা ও অন্যান্য ক্যাটেগরির প্রার্থীদের জন্য ২০০ টাকা ফি ধার্য করা হয়েছে। আবেদনের জন্য বিষয়ভিত্তিক যোগ্যতামান এবং সেগুলির মেধাতালিকা কোন ফর্মুলায় প্রস্তুত করা হবে, তা বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেওয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে ওয়েবসাইটে। এদিকে চার বছরের স্নাতক পাঠ্যক্রম চালু হলেও, এক বছর বা দুই বছরে ল্যাটারাল এন্ট্রি বা এগজিট ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে না যাদবপুরে। ন্যাশনাল কারিকুলাম অ্যান্ড ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্কে উল্লিখিত এন্ট্রি-এগজিটের ব্যবস্থা মোতাবেক, এক-দু’বছর পড়াশোনা করে কলেজ ছেড়ে দিলেও তা বৃথা যাবে না। ন্যূনতম ক্রেডিট স্কোরের শর্ত পূরণে মিলবে সার্টিফিকেট বা ডিপ্লোমা। এই সুবিধা মিলবে না যাদবপুরে। একইসঙ্গে ডিসিপ্লিন পরিবর্তনের সুযোগও (মাইনর থেকে মেজর) আপাতত দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।