দীপঙ্কর মণ্ডল: ইন্টারনেটের পাসওয়ার্ড পেতেও মুচলেকা! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে এবার জানাতে হবে, ক্যাম্পাসে নিখরচার ইন্টারনেট সবাই শুধু শিক্ষামূলক কাজেই ব্যবহার করবেন।
বছর দু’য়েক হল ক্লাস হচ্ছে না। তবে ক্যাম্পাসের শক্তিশালী ওয়াইফাই চালু রেখেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) কর্তৃপক্ষ। উদ্দেশ্য ছিল, ক্লাস না হলেও দুস্থ পড়ুয়াদের অনলাইন পড়াশোনায় যাতে অসুবিধা না হয়। কিন্তু ফল হয়েছে উল্টো। দিনরাত ক্যাম্পাসের বাইরে-ভিতরে চুটিয়ে অনলাইন গেম খেলা হয়েছে। অনেকে নেটফ্লিক্স বা অ্যামাজন প্রাইমের মতো ওটিটি প্ল্যাটফর্মে বুঁদ হয়ে থেকেছে। সবাই যে পড়ুয়া নয় তা বলাই বাহুল্য। স্থানীয় দোকানদার থেকে থেকে শুরু করে অনেকেই নিখরচার ইন্টারনেটে ডাউনলোড করেছে নীল ছবিও।
[আরও পড়ুন: ‘মাস্ক পরা অভ্যাসে পরিণত করুন, উৎসবে সতর্ক থাকুন’, একনজরে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের ৭ পয়েন্ট]
সার্ভারে চাপ এতটাই বাড়ছিল যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কাজের সময় স্লো হয়ে হয়ে যাচ্ছিল ইন্টারনেটের গতি। বাধ্য হয়ে পাসওয়ার্ড বদলে ফেলেছে কর্তৃপক্ষ। স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং গবেষণা, অধ্যয়নের প্রত্যেক ধাপের পড়ুয়াদেরই আবেদনের ভিত্তিতে নতুন পাসওয়ার্ড জানানো হবে। কর্তৃপক্ষের নয়া সিদ্ধান্তে পড়ুয়া নয় এমন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা যে চাপে পড়বে সন্দেহ নেই। তবে এ ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না বলে জানাচ্ছেন সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সামন্তক দাস।
তিনি বলেন, “বন্ধুত্বের খাতিরে হয় তো আমাদের ইন্টারনেট পাসওয়ার্ড কেউ শেয়ার করে ফেলছিল। বাইরে এতটাই তা বেশি করে ব্যবহৃত হচ্ছিল যে পাসওয়ার্ড বদলানো ছাড়া উপায় ছিল না।” তবে এবারও যে নিখরচার ইন্টারনেটের চাবি বাইরে যাবে না তার গ্যারান্টি দিতে পারছেন না কেউ। স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও গবেষকদের আবেদনপত্রের আলাদা বয়ান তৈরি হয়েছে। বিভাগীয় প্রধানদের সই করার জন্যও বরাদ্দ রয়েছে জায়গা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যেককে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে, অ্যাকাডেমিক বিষয় ছাড়া কেউ অন্য কোনও কাজে ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন না।