সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যপালের সিদ্ধান্তে নিয়োগ। আবার তাঁর সিদ্ধান্তেই বহিষ্কার। তীব্র টানাপোড়েনের মাঝেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন। অনুষ্ঠান শেষে কেঁদে ফেললেন সদ্য অপসারিত অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। তবে এই কান্নাকে আনন্দাশ্রু বলেই দাবি করেন তিনি।
সমাবর্তন শেষে বেরিয়ে বুদ্ধদেববাবু বলেন, “গত চার মাস ধরে আমি সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে রাত ১০টায় বাড়ি গিয়েছি। তবে ছাত্রদের হাতে যে অন্তত ডিগ্রিটা তুলে দেওয়া গেল, তাতেই ভাল লাগছে।” বেশ খানিকটা আবেগপ্রবণ হয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি। চোখের জল মুছতে মুছতে বলেন, “এটা আনন্দের জল।” আপাতত বেশ কয়েকদিন বিশ্রাম নেবেন বলেও জানান। তিনি আরও জানান, আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
[আরও পড়ুন: গীতাপাঠের সপক্ষে বলতে গিয়ে বিবেকানন্দকে ‘অপমান’ সুকান্তর, পালটা জবাব তৃণমূলের]
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে রাজভবনের তরফে উপাচার্যকে অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়। তার পর থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তবে টানাপোড়েনের মাঝে রবিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টের বৈঠক হয়। নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুটা পরে শুরু হয় শংসাপত্র প্রদান অনুষ্ঠান। রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর উপস্থিতিতে সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্ত পড়ুয়াদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন সদ্য অপসারিত অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে কেঁদে ফেলেন তিনি।