সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: থামছেন না উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। ফের বিচার বিভাগের ক্ষমতার সীমা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন তিনি। এমনকী, শীর্ষ আদালতের একাধিক ‘ঐতিহাসিক রায়’কে দেশের সংসদীয় সার্বভৌমত্বের জন্য খারাপ নজির বলেও উল্লেখ করেন ধনকড় (Jagdeep Dhankar)।
বুধবার জয়পুরে অনুষ্ঠিত ৮৩তম অল ইন্ডিয়া প্রিসাইডিং অফিসারস কনফারেন্সে তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে কেশবানন্দ ভারতী মামলায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ই একটি ‘খারাপ নজির’। কারণ ওই রায়েই সুপ্রিম কোর্ট প্রথম সংবিধানের মূল কাঠামোর কথা বলে। একইভাবে উচ্চপদে নিয়োগে ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কমিশন বাতিল নিয়েও সরব হন ধনকড়। ধনকড়ের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্ট এই দুটি ক্ষেত্রেই সংসদ বা বিধানসভার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে। তাঁর বক্তব্য, সংবিধানের কাঠামোর অজুহাত দিয়ে সংসদ বা বিধানসভার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা যায় না।
[আরও পড়ুন: ভয়ংকর! তন্ত্রমন্ত্রের বলি ৯ বছরের বালক! অর্থপ্রাপ্তির আশায় মুন্ডু কাটার পর খণ্ড খণ্ড দেহ]
বুধবার তিনি বলেন, ২০১৫ সালে এনজেএসি আইন (NJAC) বাতিল ‘বিশ্বের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে সম্ভবত নজিবিহীন’ একটি ঘটনা। তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র টিকে থাকার জন্য সংসদীয় সার্বভৌমত্ব ও স্বায়ত্তশাসন অপরিহার্য এবং নির্বাহী বিভাগ বা বিচার বিভাগ দ্বারা তার সঙ্গে আপস করা চলে না। ধনকড়ের সাফ কথা, “নির্বাহী বিভাগকে সংসদ থেকে উদ্ভূত সাংবিধানিক প্রস্তাব মেনে চলার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে। এটি এনজেএসি (NJAC) মেনে চলতে বাধ্য। বিচার বিভাগের রায়ে তা বাতিল হতে পারে না। বস্তুত, উপরাষ্ট্রপতির এই মন্তব্য বিচারবিভাগের উচ্চপদে নিয়োগ ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্ট ও কেন্দ্রের মধ্যে চলা দ্বন্দ্বের পরিপ্রেক্ষিতে। কেন্দ্রের তরফে বিচারবিভাগের উচ্চপদে নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্ট সেই ব্যবস্থাই চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে।
[আরও পড়ুন: ‘ভারত জোড়ো’র শেষদিন শক্তি প্রদর্শন! তৃণমূল-সহ ২১ দলকে আমন্ত্রণ কংগ্রেসের]
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এক লিখিত বার্তায় বলেন, “বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রকে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে আমাদের আইন প্রণয়ন সংস্থাগুলির ভূমিকা প্রশংসনীয়। আইনসভা এবং বিচার বিভাগের মধ্যে সম্পর্ক প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বলেন, ‘‘আমাদের দেশের আইনসভাগুলি সবসময় বিচার বিভাগের ক্ষমতা ও কর্তৃত্বকে সম্মান করে। আইনসভার প্রিসাইডিং অফিসাররা বিচার বিভাগের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক যাতে সংবিধানের চেতনা ও মর্যাদা অনুযায়ী হয় তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছেন। উল্লেখ্য, জয়পুর শহরে চতুর্থবারের জন্য এই সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে।