সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মন্দের ভাল! জামিন না পেলেও ভীমা-কোরেগাঁও মামলায় অভিযুক্ত তেলেগু কবি অশীতিপর ভারভারা রাও (Varvara Rao) হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর অনুমতি পেলেন। বুধবার বম্বে হাই কোর্ট (Bombay High Court) জানিয়েছে, ১৫ দিন মুম্বইয়ের নানাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকবেন তেলেগু কবি। সেই খরচ বহন করবে মহারাষ্ট্র সরকার। হাসপাতালে নিয়ম মেনে তাঁর সঙ্গে পরিবারের সদস্যরও দেখা করতে পারবেন। তবে আদালতকে না জানিয়ে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া যাবে না।
৮১ বছরের ভারভারা রাওকে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে চেয়ে বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তেলেগু কবির স্ত্রী পি হেমলতা। এদিন বিচারপতি এসএস সিন্ধে ও বিচারপতি মাধব জামদারের ডিভিশন বেঞ্চে সেই আবেদনের শুনানি হয়। আদালতে তেলেগু কবির আইনজীবী জানান, “ভারভারা রাও স্নায়ুর রোগে ভুগছেন। তিনি ডিমনিশিয়া আক্রান্ত। মূত্রদ্বারেও সংক্রমণ হয়েছে। জেলে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। হাসপাতালে উপযুক্ত চিকিৎসা প্রয়োজন।”
[আরও পড়ুন : ‘মানুষের মনোবল ভেঙে যাচ্ছে, এটা বিকাশ না বিনাশ?’ আবারও কেন্দ্রকে তোপ রাহুলের]
পালটা সরকারি আইনজীবী দীপক ঠাকরে জানান, “জেলের হাসপাতাল ওয়ার্ডে তাঁর চিকিৎসা চলছে।” উল্লেখ, গত জুন মাসে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ভীমা-কোরেগাঁও মামলায় অভিযুক্ত। সেই সময় তিনি নানাবতী হাসপাতালে ভরতি ছিলেন। তারপর ফের জেলবন্দি। কিন্তু সেখানে ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তিনি। সে কথা মাথায় রেখেই নির্দেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারভারা রাওকে হাসপাতালে ভরতি করতে বলেছে হাই কোর্ট।
[আরও পড়ুন : ‘কংগ্রেস ক্ষয়িষ্ণু দলে পরিণত হয়েছে, সংগঠন বলে কিছু নেই’, এবার বেসুরো চিদম্বরম]
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকা এবং মাওবাদীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে প্রবীণ অধ্যাপক এবং কবি ভারাভারা রাওকে ২০১৮ সালের ২৮ অগস্ট গ্রেপ্তার করে পুণে পুলিশ। ওই মামলার চার্জশিটের দাবি, সে বছরের ১ জানুয়ারি ভীমা কোরেগাঁওতে দলিত বিজয়দিবস অনুষ্ঠানে ব্যাপক গন্ডগোলের পিছনে ভারভারা ছাড়াও আরও ৪ জন সমাজকর্মী জড়িত ছিলেন।
সম্প্রতি তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় বারবার জেল কর্তৃপক্ষের কাছে পরিবারের তরফে আবেদন জানানো হয়েছিল, তাঁকে ন্যূনতম চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য। কিন্তু তালোজা সংশোধনাগারে সেটুকুও হচ্ছে না, এই অভিযোগে সরব হন বিশিষ্টরা। পরে চাপে পড়ে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু তাও মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য টেলিফোন মারফত। শেষপর্যন্ত তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসার অনুমতি দিল বম্বে হাই কোর্ট।