সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়ার (Russia) সঙ্গে ভারতের (India) বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে বারবার সুর চড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে ভারতের অবস্থান বদলাতেও চাপ এসেছে ওয়াশিংটন থেকে। কিছুদিন আগেই ভারতে এসে মার্কিন প্রতিনিধি রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, ভারত যদি রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাড়ায়, তাহলে সেটা মোটেই ভাল চোখে দেখবে না তারা। এহেন পরিস্থিতিতেই আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। আগামী ১১ এপ্রিল ওয়াশিংটনে তাঁরা বৈঠক করবেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টণি ব্লিঙ্কেন এবং প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনের সঙ্গে। ২০২০ সালের পরে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার মন্ত্রী পর্যায়ের (2+2 Talks) দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়নি।
ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, “এই বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়েই আলোচনা করা হবে। ভারত এবং আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক (Bilateral Relation) বিদেশনীতি, প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার পর্যালোচনা করবেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা।” সূত্রের খবর, আলোচনায় উঠতে পারে ইউক্রেন প্রসঙ্গও। যুদ্ধের প্রেক্ষিতে যেভাবে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি পালটে গিয়েছে, সেই বিষয়ে কথা হতে পারে দুপক্ষের মধ্যে। কিভাবে পরিবর্তিত পরিস্থিতি সামলানো যাবে তাও আলোচনার বিষয় হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: WB By-Election: আসানসোল উপনির্বাচনের আগেই পুলিশ মহলে রদবদল, সরানো হল দুই আধিকারিককে]
রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখলে তার ফল ভুগতে হবে, এমনটাই বলা হয়েছিল আমেরিকার তরফে। সেই প্রসঙ্গে অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, “রাশিয়ার সঙ্গে অনেক পণ্য নিয়েই বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে ভারতের, তার তেল আমদানিও রয়েছে। দুই দেশের যা সম্পর্ক রয়েছে, সেটাই বজায় রাখা আমদের উদ্দ্যেশ্য।” তিনি জানিয়েছেন, “বৈধভাবেই বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে রাশিয়ার সঙ্গে, তাই এই বিষয় নিয়ে কোনও সমস্যা তৈরি হবে না। “
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদে রাশিয়াকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাবে ভোট দেয়নি ভারত। রাশিয়াকে শেষ পর্যন্ত সাসপেন্ড করা হয় মানবাধিকার পরিষদ (UNHRC) থেকে। ভারতের নিরপেক্ষ অবস্থান এক্ষেত্রে রাশিয়ার বিরুদ্ধে গিয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আমেরিকা সফরের আগে এই অবস্থান রাশিয়া এবং আমেরিকা দুই দেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে।
যদিও সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে কোনও আন্তর্জাতিক চাপ দেওয়া হয়নি ভারতকে। আরও জানান হয়েছে, অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করবেন জয়শংকর। এছাড়া মার্কিন প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের অধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন ভারতীয় প্রতিনিধিরা।