সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বড়সড় সেনা সমাবেশ জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir)। বিশেষ করে সন্ত্রাস জর্জরিত দক্ষিণ কাশ্মীরের জেলাগুলিতে বৃহৎ সংখ্যক সেনা মোতায়েন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রশাসিত প্রদেশটির স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা।
[আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত ধর্ষণে সাজাপ্রাপ্ত রাম রহিম, কেমন আছে বিতর্কিত ধর্মগুরু?]
যদিও সেনা সমাবেশের বিষয়টি নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করে প্রশাসন জানিয়েছে, রুটিন প্রক্রিয়া মেনেই আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা জম্মু-কাশ্মীরে ফিরছেন। বিগত বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্য রাজ্যেগুলিতে ওই জওয়ানদের ইলেকশন ডিউটিতে পাঠানো হয়েছিল। এবার তাঁরা ফের নিজের আগের জায়গায় অর্থাৎ উপত্যকায় ফিরছেন। এই বিষয়ে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের শীর্ষকর্তা আইজি বিজয় কুমার বলেন, “নির্বাচনের পর রাজ্যগুলি থেকে সেনারা ফিরছেন। নতুন করে কোনও সেনা সমাবেশ হচ্ছে না।” কিন্তু প্রশাসনের আশ্বাস সত্বেও স্থানীয় রাজনীতিবিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন ফের তাঁদের আটক করা হতে পারে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ভোটের সময় কাশ্মীর থেকে প্রায় ২০০ কোম্পানি আধাসেনা পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্য রাজ্যে পাঠানো হয়েছিল। এক মাস আগে ৫০ কোম্পানি ফিরে এসেছে। এবার বাকিরা স্বস্থানে ফিরছে।ফলে এনিয়ে জল্পনার কিছু নেই।
এদিকে, প্রশাসনের দাবি উড়িয়ে বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন সেনা সমাবেশের নেপথ্যে অন্য কারণ রয়েছে। বিশেষ করে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ফৌজ প্রত্যাহার শুরু হওয়ার পর উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়তে পারে। পাশাপাশি, পাকিস্তান (Pakistan) ও চিনের (China) অভিসন্ধির কথা মাথায় রেখেছে কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, হুরিয়ত-সহ কাশ্মীরি রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে আরও কড়া কোনও পদক্ষেপ করতে পারে নয়াদিল্লি বলেও মনে করছেন অনেকে।