সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলবিরোধী কাজের জেরে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রাক্তন মন্ত্রী-সহ ১৫ জন নেতাকে বহিষ্কার করল জনতা দল (ইউনাইটেড)। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মঙ্গলবার তাঁদের বহিষ্কার করার কথা ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলবার জেডি (ইউ) (JD(U) বহিষ্কৃতদের মধ্যে বিহারের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দাদান সিং যাদব, রামেশ্বর পাসওয়ান, ভগবান সিং কুশওয়া, কাঞ্চন কুমারী গুপ্তা, রণবিজয় সিং-সহ একাধিক বর্তমান ও প্রাক্তন বিধায়ক রয়েছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁদের নামে দলবিরোধী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠছিল। তদন্তে তার প্রমাণ মেলায় অভিযুক্তদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এর কোনও প্রভাব দলের উপর পড়বে না।
[আরও পড়ুন: দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণ কমলেও বিপদ এখনও কাটেনি, সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী ]
এর আগে সোমবার বিহারের বিজেপি নেতৃত্বও দলবিরোধী কাজের জন্য তাদের ন’জন নেতাকে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে। তাঁদের মধ্যে রাজেন্দ্র সিং, রামেশ্বর চৌরাসিয়া, উষা বিদ্যার্থী, অনিল কুমার, শ্বেতা সিং প্রভাবশালী নেতানেত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সোমবার বিহার বিজেপির সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়ালের সই করা একটি নোটিস বহিষ্কৃত নেতানেত্রীদের কাছে পাঠানো হয়। তাতে লেখা ছিল, আপনারা এনডিএ-এর প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। এর ফলে এনডিএ ও দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। এটা দলের আদর্শের বিরোধী। তাই দলবিরোধী কাজের জন্য আপনাদের ৬ বছরের জন্য বিজেপি থেকে বহিষ্কার করা হল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী ২৮ অক্টোবর থেকে বিহারে তিন দফায় বিধানসভা নির্বাচন শুরু হতে যাচ্ছে। তাই যতদিন যাচ্ছে শাসক ও বিরোধী উভয় জোটই একে অপরের বিরুদ্ধে জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছে। এর মাঝেই বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের অভাব টের পাচ্ছেন বলে আক্ষেপ করলেন তাঁর ছেলে তেজস্বী যাদব। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার বাবা এবারের নির্বাচনের প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। ফলে তাঁর দক্ষতা ও উপস্থিতিকে দলের প্রার্থীদের উজ্জীবিত করানোর কাজে ব্যবহার করা যাবে না। তাই দলের অন্য নেতাদের কাছে নির্বাচনের কাজে আরও বেশি মনোনিবেশ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’