সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২০ সালে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যপরবর্তী ঘটনা। জাতীয়স্তরের সংবাদমাধ্যমে জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কঙ্গনা রানাউত। দাবি করেন, “বলিউডের বিশিষ্ট গীতিকার তাঁকে আত্মহত্যার প্ররোচনা জুগিয়েছিলেন।” যে কাণ্ডের জল গড়ায় আদালত অবধি। কঙ্গনার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করেন জাভেদ। এবার সংশ্লিষ্ট মামলাতেই মুখ খুললেন জাভেদ আখতার। কী ঘটেছিল সেই রাতে? পুরোটা আদালতের কাছে জানালেন গীতিকার।
২০১৬ সাল। কঙ্গনা রানাউতের সঙ্গে হৃতিক রোশনের ঝামেলা তখন তুঙ্গে। কাদা ছোড়াছুঁড়ি। আইনি জটিলতা। ব্যক্তিগত চ্যাট ফাঁস। ঠিক সেই সময়েই বন্ধু ডা. রমেশ আগরওয়ালের পরামর্শে কঙ্গনা রানাউতকে নিজের বাড়িতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান জাভেদ আখতার। গীতিকারের দাবি, সেইসময়ে ব্যক্তিগতভাবে তিনি কঙ্গনাকে না চিনলেও তাঁর কাজ দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। মঙ্গলবার আন্ধেরি মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জাভেদ সেদিনকার রাতের গোটা ঘটনাটা বলেন।
জাভেদ আখাতার বলেন, “রমেশ আমাদের কমন ফ্রেন্ড। ও কঙ্গনাকে খুব ভাল করে চিনত। তাই হৃতিকের সঙ্গে যে ঝামেলা চলছিল, সেটার জন্য ওকে আগাম সতর্ক করতে চেয়েছিল। এটা সত্যি যে, কঙ্গনাকে আমি সেইসয়ে চিনতাম না। আর ওঁর সঙ্গে হৃতিকের কী ঝামেলা চলছিল, তা নিয়ে আমার কোনও মাথাব্যথা ছিল না! তবে রমেশের পরামর্শে দিদি রঙ্গোলিকে নিয়ে ও এসেছিল সেই রাতে আমার বাড়িতে। অনুগত্য কঙ্গনার কাছ থেকে আশাই করা যায় না। তবে সমস্যার সুরাহার জন্য হয়তো এসেছিল। কী কারণে এই মিটিং, আমি ওকে ফোনেই জানিয়ে দিয়েছিলাম। তাছাড়া রাজনীতি, আবহাওয়া কিংবা ২০১৬ সালের আমেরিকার রাজনীতি নিয়ে তো কথা বলার জন্য ডাকব না। তবে যখন দেখি কঙ্গনা আমার কথা শুনতে রাজি নয়,তখন আলোচনার বিষয়বস্তু বদলে ফেলি।”
[আর পড়ুন: ‘শাহরুখ ঘুষ দিয়েছেন, হাত পেতে কালো টাকা নেন সমীর’, বম্বে হাইকোর্টে নতুন মামলা]
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে সুশান্তের রহস্যজনক মৃত্যুর পর কঙ্গনা দাবি করেন, “একবার জাভেদ আখতার ওঁর বাড়িতে আমাকে ডেকে বলেছিলেন, রাকেশ রোশন ও হৃতিকরা মুম্বইতে খুব বিত্তশালী। তুমি যদি ক্ষমা না চাও তাহলে কোথাও যাওয়ার মুখ থাকবে না তোমার। তোমাকে জেলে পুরবে ওঁরা। তুমি ধ্বংস হয়ে যাবে। আত্মহত্যা করবে। আমার ওপর চোখ রাঙিয়ে চিৎকারও করেছিলেন জাভেদ। আমি ভয়ে কাঁপছিলাম ওঁর বাড়িতে দাঁড়িয়ে।” অভিনেত্রীর এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জাভেদ আদালতে বলেন, “কঙ্গনা পুরোটাই মিথ্যে বলছে। বরং আমার পরামর্শ শুনে ও ওর দিদি রঙ্গোলির সঙ্গে আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।”