সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মদ খাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মেজর ও তিন সহকর্মী। কিন্তু, তাতে আপত্তি করায় এক জওয়ানকে লোহার রড় দিয়ে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল। শনিবার মহারাষ্ট্রের পুনের সাংভি থানায় চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত জওয়ান।
[আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা খোলার আবেদন ভারতের]
পুলিশের তরফে প্রকাশিত একটি বিবৃতি জানানো হয়েছে, গত ৩ জুন সন্ধেয় আউন্ধ মিলিটারি স্টেশনে ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই জওয়ান। তাঁর অভিযোগ, ওইদিন একটি জায়গায় বসে মদ্যপান করছিলেন অভিযুক্ত চারজন। কিছুক্ষণ পর ওই জওয়ানকে ডেকে তাঁদের সঙ্গে মদ খাওয়ার প্রস্তাব দেন। তাতে রাজি হননি আক্রান্ত। জানান, তিনি মদ খান না। কিন্তু, এই কথা শুনে উত্তেজিত হয়ে পড়েন ওই চারজন। তাঁকে জোর করে চেপে ধরে একটি বোতল থেকে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন।
বাধা দেওয়ায় অভিযুক্ত মেজর ও তাঁর বাকি তিন সঙ্গী জওয়ানটি এলোপাথাড়ি ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন। তারপর একটি কাঠের লাঠি দিয়ে তাঁর মাথাতে বারবার আঘাত করেন। প্রচণ্ড আঘাতের জেরে যন্ত্রণায় চিত্কার করতে শুরু করেন আক্রান্ত। তা বন্ধ করার জন্য তাঁর মুখে কাপড়ও গুঁজে দেওয়া হয়েছিল। মারধরের জেরে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই সেনা জওয়ান। কিন্তু, তারপরও থামেনি অত্যাচার। বরং মোটা একটি লোহার রড দিয়ে তাঁকে মারতে থাকেন মেজর। আর তাঁর সঙ্গীরা মারতে থাকেন লাথি।
[আরও পড়ুন- ১৭ মাস পর মিলল বিচার, কাঠুয়া ধর্ষণ কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত পাঁচ]
ওই জওয়ানের দাবি, প্রচণ্ড আঘাতের জেরে ঘটনাস্থলেই অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন তিনি। বিষয়টি দেখতে পেয়ে অন্য জওয়ানরা তাঁকে নিয়ে গিয়ে অউন্ধ সিভিল হাসপাতালে ভরতি করেন। এপ্রসঙ্গে সাংভি থানার ইনস্পেক্টর মিস্টার শিন্ডে জানান, ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে মিলিটারি স্টেশনের আধিকারিকরা। আগে ভারতীয় সেনার শীর্ষ আধিকারিকরা এবিষয়ে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। সেনার তদন্ত শেষ হলেই অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানাবে পুলিশ।