সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খ্যাতি বলুন কিংবা পরিচিতি, জয়া বচ্চনকে অভিনেত্রী হিসেবেই চেনেন সকলে। কিন্তু, অমিতাভ বচ্চনকে বিয়ে করার পর রূপোলি পর্দা থেকে নিজেকে অনেকটাই সরিয়ে নিয়েছেন তিনি। বদলে ফেলেছেন পদবীও। জয়া ভাদুড়ি থেকে হয়েছেন জয়া বচ্চন। যোগ দিয়েছেন সংসদীয় রাজনীতিতে। সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন। আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনেও ফের অমিতাভ-ঘরণীকেই প্রার্থী করেছে মুলায়ম সিংহের দল। আর যদি এবারও সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য নির্বাচিত হন, তাহলে সম্ভবত জয়া বচ্চনই হবেন দেশের সবচেয়ে ধনী সাংসদ। নির্বাচনী হলফনামায় জয়া জানিয়েছেন, তিনি ১ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক।
[দেশের সেরা সাংসদ জয়া বচ্চন, ‘গর্বিত’ অমিতাভ]
রাজনীতির মঞ্চে নজর কেড়েছেন জয়া বচ্চন। গত বছর রাজ্যসভার সেরা সাংসদের পুরস্কার পেয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির এই সাংসদ। দিল্লির বিজ্ঞানভবনে এক অনুষ্ঠানে জয়া বচ্চনকে পুরষ্কৃত করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানের ছবি টুইট করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। আর এবার কি তবে দেশের সবচেয়ে ধনী সাংসদের শিরোপাও পেতে চলেছেন জয়া বচ্চন? আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে ফের এই অভিনেত্রীকে প্রার্থী করেছে সমাজবাদী পার্টি। মনোনয়ন পেশ করেছেন জয়া বচ্চন। মনোনয়ন পেশের সময় রীতিমাফিক দেওয়া হলফনামায় নির্বাচন কমিশনকে জয়া জানিয়েছেন, তিনি ও তাঁর স্বামী অমিতাভ বচ্চন যৌথভাবে ৪৬০ কোটি টাকারও বেশি স্থাবর সম্পত্তির মালিক। ৫৪০ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তিও রয়েছে বচ্চন দম্পতির। সোজা কথায়, রাজ্যসভা নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী জয়া বচ্চনের সম্পত্তির পরিমাণ হাজার কোটি টাকা।
[বিরোধীদের এককাট্টা করতে নৈশভোজ সনিয়ার, ডাক তৃণমূলকেও]
২০১৪ সালে রাজ্যসভায় সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন বিজেপির রবীন্দ্র কিশোর সিনহা। নির্বাচনী হলফনামায় ৮০০ কোটি টাকার সম্পত্তির কথা ঘোষণা করেছিলেন। এখনও পর্যন্ত তিনিই দেশের সবচেয়ে ধনী সাংসদ। পাঁচ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। ফের একটি রাজ্যসভা নির্বাচন আসন্ন। আর এই নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে সম্পত্তির বিচারে সবাইকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ পদপ্রার্থী জয়া বচ্চন। তাই এবার যদি রাজ্যসভা ভোটে জেতেন, তাহলে অমিতাভ জায়াই হবেন দেশের সবচেয়ে ধনী সাংসদ।
[তাঁর ডাকেই ৫০ হাজার কৃষক ১৮০ কিমি পথ হেঁটেছেন, চেনেন বিজু কৃষ্ণণকে?]
The post রাজ্যসভা ভোটে জিতলে দেশের সবচেয়ে ধনী সাংসদ হবেন জয়া বচ্চন appeared first on Sangbad Pratidin.